জয়দেব মোড়

বিজেপি নেতার হোটেলে বোমা-গুলির অভিযোগ

খাবারের দাম নিয়ে বিবাদ। আর তার জেরে এক বিজেপি নেতার হোটেলে হামলা ও বোমাবাজির ঘটনা ঘটল। বুধবার গভীর রাতে দুবরাজপুর থানা এলাকার জয়দেব মোড়ের ঘটনা। ওই ঘটনায় আবার অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দায়ের হলেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুবরাজপুর শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৫ ০০:৪০
Share:

খাবারের দাম নিয়ে বিবাদ। আর তার জেরে এক বিজেপি নেতার হোটেলে হামলা ও বোমাবাজির ঘটনা ঘটল। বুধবার গভীর রাতে দুবরাজপুর থানা এলাকার জয়দেব মোড়ের ঘটনা। ওই ঘটনায় আবার অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দায়ের হলেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, পানাগড়-দুবরাজপুর ১৪ নম্বর রাজ্য সড়কে ধারে, জয়দেব মোড়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই ওই হোটেলটি চালান বিজেপি-র জেলা সাধারণ সম্পাদক রামকৃষ্ণ রায় এবং তাঁর ভাই জগদানন্দ রায়। সেই হোটেলেই রাতে আক্রমণের ঘটনাটি ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকটি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে। রামকৃষ্ণবাবুর দাবি, ‘‘বুধবার রাত ৮টা নাগাদ পাশের গাঁড়া গ্রামের বাসিন্দা ফারুক খান নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে ভাইয়ের বচসা হয়েছিল। উপস্থিত লোক জনের মধ্যস্থতায় তখনকার মতো বিষয়টি মিটলেও বাড়ি ফেরার আগে শাসিয়ে গিয়েছিলেন ফারুক।’’ তাঁর অভিযোগ, রাত ১২টা এবং আড়াইটে নাগাদ, দু’দফায় লোকজন জুটিয়ে এনে হোটেলে হামলা চালায় ফারুক।

তাঁর কথায়, ‘‘ওরা নির্বিচারে বোমা-গুলি চালায়। কপাল ভাল তাই কোনও অঘটন ঘটেনি।’’ রামকৃষ্ণবাবুর অভিযোগ, হামলায় অভিযুক্তেরা তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত।

Advertisement

বিজেপি-র জেলা সভাপতি অর্জুন সাহা এ দিন দাবি করেন, ‘‘আমাদের নেতার হোটেল বলেই পরিকল্পিত ভাবে আক্রমণ চালানো হয়েছে। পুলিশ সুপারকে বিষয়টি জানাব।’’

যদিও দলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দুবরাজপুরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি ভোলানাথ মিত্র। তাঁর দাবি, ‘‘ওই ঘটনার সঙ্গে আমাদের দলের কোনও যোগ নেই। যাকে নিয়ে অভিযোগ, তাকে আমি চিনিই না। দলকে কলঙ্কিত করার জন্যই আমাদের দলের নাম জড়ানো হচ্ছে।’’

মূল অভিযুক্ত ফারুকের সঙ্গে এ দিন যোগাযোগ করা যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন