বিডিও-র অভিযোগে গ্রেফতার তিন

১০০ দিন কাজের প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হলেন পঞ্চায়েতের তিন কর্মী। রাইপুরের ফুলকুসমা পঞ্চায়েতের ওই তিন কর্মীর সঙ্গে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার বারিকুল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন রাইপুরের বিডিও দীপঙ্কর দাস। সেই রাতেই পুলিশ ওই পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক নীলরতন বিশ্বাস, গ্রাম রোজগার সেবক রাহুল সেনাপতি ও সুপারভাইজর অলক মণ্ডলকে গ্রেফতার করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০১৪ ০০:৫৫
Share:

১০০ দিন কাজের প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হলেন পঞ্চায়েতের তিন কর্মী। রাইপুরের ফুলকুসমা পঞ্চায়েতের ওই তিন কর্মীর সঙ্গে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার বারিকুল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন রাইপুরের বিডিও দীপঙ্কর দাস। সেই রাতেই পুলিশ ওই পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক নীলরতন বিশ্বাস, গ্রাম রোজগার সেবক রাহুল সেনাপতি ও সুপারভাইজর অলক মণ্ডলকে গ্রেফতার করে। পঞ্চায়েত প্রধান গোবিন্দপ্রসাদ মুর্মুকে অবশ্য শুক্রবারও পুলিশ ধরতে পারেনি। ধৃতদের এ দিন খাতড়া আদালতে হাজির করানো হলে ১৪ দিন জেল হাজত হয়েছে।

Advertisement

রাইপুরের বিডিও বলেন, “১০০ দিন কাজের প্রকল্পে ফুলকুসমা পঞ্চায়েত এলাকায় একটি ক্লাবের মাঠে জমি সমান করা হয়েছে। এ জন্য বরাদ্দ ছিল ২৪ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫৩৩ টাকা। প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী অদক্ষ শ্রমিকদের দিয়ে এই কাজ করানোর কথা থাকলেও শ্রমিকদের পাশাপাশি জেসিবি দিয়ে মাটি কাটানো হয়েছে। এ জন্য ভুয়ো জবকার্ড ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ এসেছিল। এ ছাড়া মার্চ মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে বলে খাতায় কলমে দেখানো হলেও কাজ তখন অসম্পূর্ণ ছিল। পরে সেই কাজ শেষ করা হয়। তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায়, পঞ্চায়েতের প্রধান, নির্মাণ সহায়ক-সহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি।” তাঁর দাবি, ওই প্রকল্পে ৬০৩২ জন শ্রমিকের কাজ করার কথা ছিল, কিন্তু বাস্তবে কাজ করেছেন ৩৪১৪ জন। শ্রমিকদের কর্মদিবসের হিসাবেও গরমিল রয়েছে।

পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে তাঁর মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি করেছেন, “প্রকল্পের কাজ সরকারি নিয়ম মেনেই করা হয়েছে। অর্থ তছরুপ বা ভুয়ো জবকার্ড ব্যবহারের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।” রাইপুর ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি রাজকুমার সিংহ-ও দাবি করেছেন, “ওই কাজের পরিমাপ ঠিকমতো করা হয়নি। যাদের মাঠ সেই ক্লাবের তরফে জেসিবি ব্যবহার করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পঞ্চায়েতের কোনও দোষ নেই। চক্রান্ত করে প্রধান ও পঞ্চায়েতের তিন কর্মীর বিরুদ্ধে বিডিও মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement