বামেদের বিরুদ্ধে অনাস্থা তৃণমূলের

বার বাম পরিচালিত দু’টি পঞ্চায়েতে ভাঙন ধরালো তৃণমূল। একটিতে পাশে পেল সিপিএম সদস্যদেরও। অন্যটিতে কংগ্রেস ও কয়েক জন নির্দল সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে পৃথক ভাবে ওই দুই পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট বিডিও-র কাছে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিলেন সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যেরা। সোমবার যথাক্রমে নলহাটি ২ ব্লকের শীতলগ্রাম ও রামপুরহাট ২ ব্লকের কালুহা পঞ্চায়েতের ঘটনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নলহাটি শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০১৪ ০০:১৭
Share:

বার বাম পরিচালিত দু’টি পঞ্চায়েতে ভাঙন ধরালো তৃণমূল। একটিতে পাশে পেল সিপিএম সদস্যদেরও। অন্যটিতে কংগ্রেস ও কয়েক জন নির্দল সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে পৃথক ভাবে ওই দুই পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট বিডিও-র কাছে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিলেন সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যেরা। সোমবার যথাক্রমে নলহাটি ২ ব্লকের শীতলগ্রাম ও রামপুরহাট ২ ব্লকের কালুহা পঞ্চায়েতের ঘটনা।

Advertisement

পঞ্চায়েত ও দলীয় সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত ভোটের ফলে ১৭ আসনের শীতলগ্রাম পঞ্চায়েতে দলগত অবস্থান ছিল সিপিএম ১১, কংগ্রেস ৪ ও তৃণমূল ২। প্রধান ও উপপ্রধান হন যথাক্রমে নারায়ণচন্দ্র সাহা এবং হাজিরা বিবি। লোকসভা ভোটের আগে পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান তাইজুদ্দিন মণ্ডলের নেতৃত্বে চার কংগ্রেস সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। এ বার তাইজুদ্দিনের নেতৃত্বেই তৃণমূল সিপিএম প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্থাব আনল। এ দিন তাইজুদ্দিনের দাবি, “তৃণমূলের ২, কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া ৪ এবং সিপিএমের ৪ সদস্য অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছেন। বর্তমান প্রধান দুর্নীতিগ্রস্ত ও উন্নয়নবিমুখ। তাই প্রধানের অপসারণ চেয়ে পঞ্চায়েত সদস্যরা এককাট্টা হয়েছেন।” তিনি জানিয়েছেন, অনাস্থায় স্বাক্ষরকারী সিপিএম সদস্যেরা হলেন, কামালপুর সংসদের রথীন্দ্রনাথ আলিপাত্র, টিঠিডাঙা সংসদের পূর্ণিমা দাস, বাঁধখালা সংসদের সাবানা বিবি এবং সাহেবনগর সংসদের মহিমা বিবি। সাবানা বিবিদের যুক্তি, “কাজের ক্ষেত্রে দলের প্রধান আমাদের গুরুত্ব দিতেন না। সেই জন্য প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে বাধ্য হয়েছি।”

এ দিনই আবার বামফ্রন্টের দখলে থাকা রামপুরহাট ২ ব্লকের কালুহা পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে তৃণমূল অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েছে। তাতে স্বাক্ষর রয়েছে কংগ্রেস থেকে নির্বাচিত চার এবং নির্দল হিসেবে নির্বাচিত তিন সদস্যেরও। পঞ্চায়েত ভোটের ফলে ১৬ আসনের ওই পঞ্চায়েতে দলগত অবস্থান ছিল বামফ্রন্ট ৪, কংগ্রেস ৪, তৃণমূল ৪ ও নির্দল ৪। প্রধান নির্বাচনের সময় বামেরা চার নির্দলেরই সমর্থন পেয়েছিল। প্রধান হন বামফ্রন্টের শরিক দল আরসিপিআই-এর মালেকা বিবি। উপপ্রধান হন নির্দলের খুকুন্নেশা বিবি। লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে আবার তিন নির্দল সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। এ দিন ওই তিন সদস্য ও চার কংগ্রেসের সদস্যকে পাশে নিয়ে তৃণমূলের বাকি চার সদস্য প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েছে। এ ক্ষেত্রেও প্রস্তাবে স্বাক্ষরকারীদের দাবি, পঞ্চায়েত পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রধানের কাজে অসন্তুষ্ট হয়েই তাঁরা অনাস্থা এনেছেন। ওই দুই পঞ্চায়েতের প্রধানই তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। বাম নেতৃত্বের দাবি, শাসক দলের প্রলোভনে কিংবা কোনও চাপে পড়েই দলীয় সদস্যেরা অনাস্থা প্রস্তাবে সই করেছেন।

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন