ব্যাঙ্ক খোলার দাবি সিউড়িতে

দাবি একটাই। আর সেই দাবি নিয়ে বুধবার বিেকেলে জেলার তিনটি মহকুমায় বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিল পশ্চিমবঙ্গ সমবায় বাঁচাও মঞ্চ। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক অবিলম্বে খুলতে হবে, এই দাবি নিয়ে এ দিন সিউড়ি, রামপুরহাট ও বোলপুরে তিন মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে বিক্ষোভের পরে স্মারকলিপি দেওয়া হয় মঞ্চের তরফে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৫ ০০:৩৯
Share:

সিউড়িতে পশ্চিমবঙ্গ সমবায় বাঁচাও মঞ্চের অবস্থান।—নিজস্ব চিত্র।

দাবি একটাই। আর সেই দাবি নিয়ে বুধবার বিেকেলে জেলার তিনটি মহকুমায় বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিল পশ্চিমবঙ্গ সমবায় বাঁচাও মঞ্চ।

Advertisement

দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক অবিলম্বে খুলতে হবে, এই দাবি নিয়ে এ দিন সিউড়ি, রামপুরহাট ও বোলপুরে তিন মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে বিক্ষোভের পরে স্মারকলিপি দেওয়া হয় মঞ্চের তরফে। প্রসঙ্গত, বিপুল পরিমাণ অনাদায়ী ঋণ থাকায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশে গত বছর ১৫ মে থেকে বন্ধ হয়ে গিয়েছে বীরভূম জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের ১৭টি শাখা।

মঞ্চের আহ্বায়ক সাধন ঘোষ বলেন, “ব্যাঙ্ক বন্ধ হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন আড়াই লক্ষেরও বেশি আমানতকারী। তাঁদের ব্যাঙ্কে গচ্ছিত প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা কী ভাবে ফেরত পাবেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তেমনই বিপাকে পড়েছে সমবায় ব্যাঙ্কের নিয়ন্ত্রাধীন ৩৩১টি সমবায় সমিতি। সেগুলির অধিকাংশই বন্ধের মুখে।”

Advertisement

ওই মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, সমবায় সমিতিগুলির মধ্যে প্রায় ১০০টিতে ব্যাঙ্কিং সিস্টেম চালু ছিল। আমানতের বড় অংশ কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কে জমা থাকায় সমবায় সমিতি থেকেও আমানতকারীরা নিজেদের জমানো টাকা তুলতে পারছেন না। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন লক্ষ লক্ষ কৃষকও। একই ভাবে সমস্যায় ব্যাঙ্কের স্থায়ী, অস্থায়ী কর্মী, সমবার কৃষি উন্নয়ন সমিতির কর্মী থেকে এজেন্ট প্রত্যেকেই চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তাঁদের দাবি, অতি সত্ত্বর এই সমবায় ব্যাঙ্ক খুলতে এ বার পদক্ষেপ করুক সরকার। তা না হলে জেলাজুড়ে বড় বিপর্যয় নেমে আসবে।

যদিও জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম দাবি করছেন, “ব্যাঙ্ক খোলার ব্যাপারে যাবতীয় পদক্ষেপ রাজ্য সরকার করেছে। কেন্দ্র, রাজ্য ও নাবার্ড মিলিত ভাবে প্রয়োজনীয় টাকা দিচ্ছে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। খুব শীঘ্র ব্যাঙ্কে অডিট হবে। বোর্ড মিটিংও হয়েছে মঙ্গলবার।

জেলাশাসককে চেয়ারম্যান করে একটি হাইপার কমিটিও গড়া হয়েছে।” তাঁর আশা,. সবকিছু ঠিকমতো এগোলে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ব্যাঙ্ক খোলা যাবে। জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী বলেন, “বোর্ড মিটিং করতে বলা হয়েছিল। বৈঠকের সিদ্ধান্ত এখনও তাঁরা জানাননি। ওঁদের সিদ্ধান্ত জানার পরেই আলোচনায় বসব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন