ব্লকের ওয়েবসাইটে মহিলাদের হেল্পলাইন

মহিলাদের সুরক্ষার জন্য এ বার ‘উইমেন হেল্পলাইন’ চালু করল বাঁকুড়া ১ ব্লক প্রশাসন। বুধবার ব্লক অফিসে ব্লকের নিজস্ব একটি ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করা হয়। সেই ওয়েবসাইটে ‘উইমেন হেল্পলাইন’ বলে একটি অপশন রয়েছে। হেল্পলাইনের উদ্বোধন করেন জেলাশাসক বিজয় ভারতী। বাঁকুড়া ১ ব্লকের ওয়েবসাইটের (Bankura1devblock.org) হোমপেজেই ‘উইমেন হেল্পলাইন’ অপশন রয়েছে। তাতে ক্লিক করলেই একটি পেজ খুলবে। অভিযোগকারিণী সংক্রান্ত সেখানে বেশ কিছু তথ্য চাওয়া হবে। যার মধ্যে দু’টি তথ্য (মোবাইল নম্বর ও স্থান) দিলেই বক্সে মেসেজ লিখে সেটি পাঠানো যাবে। কোনও মহিলা বিপদে পড়ে সাহায্যের জন্য আবেদন করে ওই মেসেজ পাঠাতে পারবেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৪ ০০:৩৫
Share:

মহিলাদের সুরক্ষার জন্য এ বার ‘উইমেন হেল্পলাইন’ চালু করল বাঁকুড়া ১ ব্লক প্রশাসন। বুধবার ব্লক অফিসে ব্লকের নিজস্ব একটি ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করা হয়। সেই ওয়েবসাইটে ‘উইমেন হেল্পলাইন’ বলে একটি অপশন রয়েছে। হেল্পলাইনের উদ্বোধন করেন জেলাশাসক বিজয় ভারতী।

Advertisement

বাঁকুড়া ১ ব্লকের ওয়েবসাইটের (Bankura1devblock.org) হোমপেজেই ‘উইমেন হেল্পলাইন’ অপশন রয়েছে। তাতে ক্লিক করলেই একটি পেজ খুলবে। অভিযোগকারিণী সংক্রান্ত সেখানে বেশ কিছু তথ্য চাওয়া হবে। যার মধ্যে দু’টি তথ্য (মোবাইল নম্বর ও স্থান) দিলেই বক্সে মেসেজ লিখে সেটি পাঠানো যাবে। কোনও মহিলা বিপদে পড়ে সাহায্যের জন্য আবেদন করে ওই মেসেজ পাঠাতে পারবেন। সমস্যার কথা ইংরেজিতে তো লেখা যাবেই, পাশাপাশি ইংরেজি হরফে বাংলায় লেখা হলেও অসুবিধা নেই। আবার খুব তাড়াহুড়োর মধ্যে থাকলে বক্সে কিছু না লিখে শুধু ‘সেন্ড’ অপশনে ক্লিক করলেই ওই মেসেজ সরাসরি বিডিও এবং বাঁকুড়া সদর থানার আইসি-র মোবাইলে চলে যাবে।

ব্লক প্রশাসনের নিজস্ব ওয়েবসাইটের সঙ্গে ‘উইমেন হেল্পলাইন’ জুড়ে দেওয়ার এই চিন্তাভাবনা একান্তই বিডিও সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায়ের। তাঁর কথায়, “মেয়েদের সুরক্ষার বিষয়টি চিন্তা করেই এই হেল্পলাইন চালু করার সিদ্ধান্ত নিলাম। এর সাহায্যে ব্লকের যে কোনও জায়গায় কোনও মহিলা সমস্যায় পড়লেই আমাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন। জোর কদমে এই ওয়েবসাইটের প্রচার করা হবে।”

Advertisement

কিন্তু, প্রশ্ন হল, রাস্তাঘাটে বা অন্যত্র কোনও মেয়ে হঠাৎ বিপদে পড়লে কী করে ওয়েবসাইটের সাহায্য নেবেন? প্রশাসনের মাথাতেও এই সমস্যার কথা রয়েছে। সে কারণেই বিডিও-র নিজের মোবাইল নম্বর (৮৩৭৩০৫২৮৩০) এবং আইসি বাঁকুড়ার মোবাইল নম্বর (৮০০১১৪৭১৪৭) প্রচার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাঁকুড়া সদর মহকুমাশাসক অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, “বিডিওর উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এতে অনেকে মহিলাই সুবিধা পাবেন।” জেলার সব কটি ব্লকেই এই হেল্পলাইন চালু করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক।

সম্প্রতি বাঁকুড়া জেলা পুলিশের উদ্যোগেও একটি ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে। সরাসরি পুলিশ সুপারের কাছে ওই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নারী-নির্যাতন, পাচার, চুরি, ছিনতাই সংক্রান্ত অভিযোগ জানানো যাচ্ছে। পুলিশও অভিযোগ পেয়ে অভিযোগকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত তদন্ত শুরু করছে। বাঁকুড়া ১ ব্লকের ওয়েবসাইটেও এ বার মহিলারা সমস্যায় পড়লে পুলিশ-প্রশাসন, দু’তরফের সঙ্গেই যোগাযোগ করতে পারবেন। পোয়াবাগানের বাসিন্দা কলেজছাত্রী পায়েল রক্ষিত, বাঁকুড়া শহরের কাটজুড়িডাঙার তরুণী অনুরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়রা বলেন, “জেলা প্রশাসন ও পুলিশের সঙ্গে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যোগাযোগ করা যাবে ঠিকই। কিন্তু, সময়মতো মেয়েরা সাহায্য পেলেই উদ্দেশ্য সফল হবে!”

এখন সেটাই চ্যালেঞ্জ পুলিশ-প্রশাসনের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন