এই ভবনেই আজ চালু হচ্ছে ক্রেশ।—নিজস্ব চিত্র।
বিশ্বভারতীতে কর্মরত শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের শিশুদের জন্য চালু হতে চলেছে ‘ক্রেশ’। আজ রবিবার আন্তর্জাতিক নারী দিবসে শান্তিনিকেতনের রতনপল্লির ‘হায়দ্রাবাদ হাউসে’ ওই ক্রেশের উদ্বোধন করা হবে।
ক্রেশ চালু হওয়ার খবরে খুশি কর্মরত অভিভাবকরা। বিশ্বভারতীর উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্ত বলেন, “গত দু’বছরে বিশ্বভারতীতে প্রায় ১৪০ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৪০ শতাংশ মহিলা। অনেকের বয়েসও কম। ক্রেশ চালু হলে আশা করি ওই কর্মীদের যাঁদের ছোট শিশু রয়েছে, তাঁরা উপকৃত হবেন।” তিনি জানান, হায়দরাবাদ হাউসটি প্রয়োজনীয় সংস্কার করে শিশু বান্ধব পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। আপাতত সেখানে ১০ জনের মতো শিশুকে রাখা যাবে।
ক্রেশটি উপযুক্ত ভাবে পরিচালনার জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কলাভবনের অধ্যাপিকা মেঘালি গোস্বামীর নেতৃত্বে দুই অধ্যাপিকা লরিসা লিন্ডেম এবং সরিতা আনন্দ ওই কমিটিতে রয়েছেন। ওই কমিটির চেয়ারপার্সন অধ্যাপিকা মেঘালি গোস্বামী বলেন, “বিশ্বভারতীতে কর্মরত শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা আগ্রহী হলে তাঁদের শিশু সন্তানদের ক্রেশে রাখতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নিয়ম নীতি মেনে সমস্ত ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের একাদশ পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই ব্যবস্থা চালু করার জন্য আলাদা ভাবে অর্থ মঞ্জুরের ব্যবস্থা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের বেঁধে দেওয়া শর্ত অনুযায়ী, ৮০০ থেকে ১২০০ বর্গফুট জায়গার মধ্যে অন্তত পক্ষে ২৫ থেকে ৩০টি শিশুকে দেখাশোনার ব্যবস্থা করতে হবে। পুরো পরিবেশ যাতে শিশু বান্ধব হয়, সে ব্যাপারে নির্দেশ রয়েছে। বিশ্বভারতী সূত্রের খবর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরতাদের সন্তানদের জন্য আগেই ক্রেশ চালু করেছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ও অসমের কটন কলেজ। এ বার সেই তালিকায় অর্ন্তভূক্ত হচ্ছে বিশ্বভারতী।