আজ বুধবার, শিয়াল-শকুন উৎসবে মাতবে বিষ্ণুপুর। মঙ্গলবার বাহাদুরগঞ্জে বিক্রি হল ৫-১০ টাকা দামের এই শিয়াল-শকুনের মূর্তি।নিজস্ব চিত্র
জেলা জুড়ে মঙ্গলবার পালিত হল ভাদু পুজো। গোটা মাস ধরে ভাদুর পুজো করে এ দিন মানুষজন গানে গানে উদ্যাপন করেছেন জাগরণের রাত। কোথাও ঝুমুরের সুরে, কোথাও লৌকিক ভাদু আবার কোথাও পঞ্চকোট ঘরানার মার্গ সঙ্গীতের ভাদুতেও মেতেছেন পুরুলিয়ার মানুষজন। ঢোল, মাদল, হারমোনিয়ম, বাঁশি, মৃদঙ্গের বোলে মুখরিত হয়েছে ভাদ্র সংক্রান্তির আগের রাত। ভাদু গানের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবেই জড়িয়ে রয়েছে পঞ্চকোট ঘরানার নাম। স্বভাবতই পঞ্চকোটের শেষ রাজধানী কাশীপুর রাত কাটিয়েছে সঙ্গীতের অনুষঙ্গেই। কাশীপুর লোকসংস্কৃতি সঙ্ঘের উদ্যোগেও পালিত হয়েছে ভাদু উৎসব। সঙ্ঘের শিল্পী সুশীল সাহ বলেন, “আমরা পঞ্চকোট ঘরানার ভাদুগানে এই উৎসব উদ্যাপন করেছি।”
রাত জাগছে পুরুলিয়া। মঙ্গলবার পুরুলিয়ার বাজারে
তাই নানারকমের মিষ্টি কিনতে হামলে পড়লেন ক্রেতারা।নিজস্ব চিত্র
ভাদু উৎসব উপলক্ষে এ দিন পুরুলিয়া শহর-সহ বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে দেখা গিয়েছে খাজা, গজা, বড় মাপের জিলিপি ও লাড্ডুর সম্ভার। কাশীপুরের মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী রবীন দাসমোদক বলেন, “ভাদু উৎসব উপলক্ষে বড় মাপের জিলিপি বানানো অনেক দিনের প্রথা।” তবে জেলার লোক গবেষক সুভাষ রায় জানান, কিছুদিন আগেও ভাদু ছিল এই জেলার অন্যতম প্রধান লোক উৎসব। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ভাদ্র মাসের শুরু থেকেই রোজ সন্ধ্যায় শোনা যেত ভাদুর গান। দিন দিন সেই উৎসবের জৌলুস ফিকে হয়ে যাচ্ছে। সময়ের চাপে জেলার অন্যতম জনপ্রিয় এই লোকউৎসব তার গরিমা হারাচ্ছে। আজ, বুধবার ভাদু বিসর্জন।