অনাস্থার সভা ঘিরে কড়া পাহারা রামপুরহাটে
পঞ্চায়েতে তাদের সদস্য সংখ্যা ক্ষমতা দখলের জন্য যথেষ্ট নয়। তা সত্ত্বেও ভাঙাভাঙির খেলায় নেমেছিল তৃণমূল। বিজেপি সদস্যের ভরসায় অনাস্থা ডেকেও শেষমেশ তা ভেস্তে যায়। রামপুরহাট ১ পঞ্চায়েত সমিতির খরুণ পঞ্চায়েতে তৃণমূল সদস্যদের ডাকা অনাস্থা কার্যকর না হওয়ায় কার্যত প্রধান হিসেবে থেকে গেলেন সিপিএম সমর্থিত নির্দল প্রধান মিনতী চৌধুরী।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১০ সদস্যের খরুণ পঞ্চায়েতে দলগত অবস্থান ছিল তৃণমূল ৪, সিপিএম ৪, বিজেপি ১ এবং নির্দল ১। প্রধান নির্বাচনের সময় ৪ জন সিপিএম সদস্যের সঙ্গে ১ জন নির্দল যেমন মিলে গিয়েছিলেন, তেমনি ৪ তৃণমূল সদস্যের সঙ্গে ১ বিজেপি সদস্য হাত মিলিয়েছিলেন। এর ফলে সমান সমান হয়ে যাওয়ার জন্য লটারির মাধ্যমে নির্দলের প্রধান হয়েছিল। একই ভাবে উপপ্রধান হয়েছিলেন বিজেপি’র লতিকা লেট। লোকসভা নির্বাচনের আগে সিপিএমের নীলকান্ত দাস তৃণমূলে যোগ দেন। তৃণমূলের ৪ সদস্য ২৬ নভেম্বর প্রধানের কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন।
বুধবার ছিল সেই অনাস্থা সংক্রান্ত সভা। সভার সময় অনুযায়ী দুপুর ১২টার পর সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া এক সদস্যকে নিয়ে তৃণমূলের চার জন সদস্য পঞ্চায়েতে আসেন। বাকি ৫ সদস্য (সিপিএম ৩, বিজেপি ১, নির্দল ১) পঞ্চায়েতে প্রবেশ করেননি। এ দিকে প্রধানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা সভা পরিচালনার জন্য কমপক্ষে ৬ জন সদস্যর উপস্থিতি দরকার ছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে সভা পরিচালনার জন্য ৬ জন সদস্য না আসায় সভা ভেস্তে যায়। এর ফলে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা সভা ভেস্তে যাওয়ায় প্রধান হিসেবে যিনি ছিলেন তিনিই থাকবেন বলে জানান রামপুরহাট ১-এর যুগ্ম বিডিও কৌশিক সমাদ্দার। যে বিজেপি সদস্যের উপর ভরসা করে তৃণমূল অনাস্থা এনেছিল সেই বিজেপি সদস্য লতিকা লেট বলেন, “প্রধান নির্বাচনের সময় দলীয় নেতারা যা নির্দেশ দিয়েছিলেন তাই করেছিলাম। এ বারও দলীয় নেতাদের নির্দেশ মেনে কাজ করেছি।”
অন্য দিকে তৃণমূল সদস্য বিদ্যাসাগর মণ্ডল বলেন, “বিজেপি’র উপপ্রধান হওয়ার সময় আমাদের চার জন সদস্যের সমর্থন ছিল। এ বার যখন প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়েছিল তখন বিজেপি সদস্য সিপিএমের সঙ্গে থেকে গিয়ে অনাস্থা প্রক্রিয়াকে বানচান করলেন।” প্রধান মিনতী চৌধুরী দাবি করেন, “প্রধান হিসেবে আমি ভাল কাজ করেছি, এখানেই তার প্রমাণ মিলল।”