চলছে আলপনা দেওয়ার কাজ। ভগবতীপুরে তোলা নিজস্ব চিত্র।
আর্থিক সামর্থ্য ছিল না, সেই কারণে গ্রামে কোনও পুজোও ছিল না। দুর্গা পুজোর সেই অভাব পূরণ করতেই মাঠ পাহারার টাকায় চালু হয় সর্বজনীন লক্ষ্মীপুজো। আর সেই পুজো ঘিরেই আনন্দে মেতে ওঠে ভগবতীপুর।
ময়ূরেশ্বরের এই গ্রামে ৪০টি পরিবারের বাস। গ্রামের অর্ধেক পরিবারের জীবিকা এখন চাকরী। কিন্তু দিন এমন ছিল না। সামান্য জমি চাষ করে চলত দিন গুজরান। রাতে মাঠে ঘুরে ধান পাহারা দিতেন গ্রামের যুবকেরা। দুর্গা পুজো করার সামর্থ্য না থাকায়, সে সময়ই মাঠ পাহারার টাকায় শুরু হয় লক্ষ্মী পুজো। সেই পুজো আজও চলছে। কেউ কেউ অবশ্য বলেন, ওই পুজোর পর থেকেই গ্রামের সমৃদ্ধি ঘটেছে। আজ আর শুধু মাঠ পাহারার টাকার উপর নির্ভর করতে হয় না। বরং লক্ষ্মীপুজোর বাজেটেই অনায়াসেই দুর্গাপুজা করা যায়। কিন্তু ওই পথে হাঁটেনি আর গ্রামবাসীরা।
পুজোর অন্যতম কর্মকর্তা সুশান্ত দে বলেন, “লক্ষ্মী আগলেই আমরা লক্ষ্মীর আরাধনা শুরু করেছিলাম। তারপর থেকেই লক্ষ্মী লাভও হয়েছে। লক্ষ্মীর পরিবর্তে দুর্গা চালুর কথা এখনও ভাবিনি তাই।” দুর্গাপুজো নেই বলে অবশ্য কোনও আক্ষেপ নেই। অন্যান্য বারের মতো এবারও বাড়ি ফিরেছেন বামাপদ মণ্ডল, সুনীল মণ্ডলরা। তাঁরা বলেন, “আমরা অনায়াসেই অন্যত্র দুর্গা পুজো দেখতে পারি। কিন্তু লক্ষ্মীপুজোয় গ্রামেই ফিরি। কারণ লক্ষ্মী পুজোই আমাদের কাছে দুর্গোত্সব হয়ে গিয়েছে।” আক্ষেপ নেই যাঁরা গ্রামে থাকেন তাঁদেরও। গৃহবধূ লাবন্য মণ্ডল, মনোরমা মণ্ডল বলেন, “লক্ষ্মীপুজোয় আত্মীয়রা আসেন। রান্না করতে হয় না। গোটা গ্রাম একত্রে পরিবারের মতো পঙক্তিভোজ হয়।