মহিলাদের বুথে টানতে গ্রামে সভা বিডিও-র

পঞ্চায়েতে অফিসে সর্বদল সভার পরে গ্রামে গিয়ে সভা করে নতুনডির মুসলিম মহিলাদের ভোট দেওয়ার আবেদন জানাল প্রশাসন। রঘুনাথপুর ২ ব্লকের নতুনডি গ্রামে স্বাধীনতার পর থেকেই বুথমুখো হননি মুসলিম সম্প্রদায়ের কোনও মহিলা। গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকে ওই গ্রামে সংখ্যালঘু মহিলাদের ভোট দেওয়ানোর প্রয়াস শুরু করেছে প্রশাসন। যদিও সেই চেষ্টা এখনও সাফল্যের মুখ দেখেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রঘুনাথপুর শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৪ ০১:০৪
Share:

পঞ্চায়েতে অফিসে সর্বদল সভার পরে গ্রামে গিয়ে সভা করে নতুনডির মুসলিম মহিলাদের ভোট দেওয়ার আবেদন জানাল প্রশাসন। রঘুনাথপুর ২ ব্লকের নতুনডি গ্রামে স্বাধীনতার পর থেকেই বুথমুখো হননি মুসলিম সম্প্রদায়ের কোনও মহিলা। গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকে ওই গ্রামে সংখ্যালঘু মহিলাদের ভোট দেওয়ানোর প্রয়াস শুরু করেছে প্রশাসন। যদিও সেই চেষ্টা এখনও সাফল্যের মুখ দেখেনি।

Advertisement

লোকসভা ভোটের মুখে তাই নতুন করে ওই মহিলাদের বোঝানোর চেষ্টায় ঝাঁপিয়েছে প্রশাসন। সম্প্রতি নতুনডি গ্রামে ব্লকের আধিকারিকদের নিয়ে সভা করেছেন বিডিও উৎপল ঘোষ। পাশাপাশি গ্রামের মহিলাদের ইভিএম দেখিয়ে ভোট সম্পর্কে আগ্রহ বাড়ানোর চেষ্টা হয়েছে। ট্যাবলো নিয়েও প্রচার হয়েছে নতুনডিতে। বিডিও বলেন, “এ বার আমরা সার্বিক প্রচার চালাচ্ছি নতুনডি গ্রামে।”

এর আগে নতুনডি গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে সর্বদল সভাও করেছিলেন বিডিও। বৈঠকে ছিলেন একটি মসজিদের ইমাম। সেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির নেতারা বিডিওকে এই বলে আশ্বস্ত করেছিলেন যে, এ বার তাঁরা ব্যক্তিগতস্তরে উদ্যোগী হয়ে তাঁদের বাড়ির মহিলাদের ভোট দেওয়াবেন। পরের ধাপে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে রঘুনাথপুর মহকুমা প্রশাসনের একটি বিশেষ ট্যাবলো নিয়ে নতুনডিতে প্রচার চালানো হয়েছে। বিডিও জানান, সম্প্রতি তাঁরা গ্রামে গিয়ে মসজিদের সামনে একটি সভা করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মহিলাদের ভোট দেওয়ার আবেদন করেছেন। উৎপলবাবু বলেন, “ওই মহিলাদের ভোট না দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও ধর্মীয় বিধিনিষেধ নেই। সমস্যাটা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা একটা প্রথা কে আগে ভাঙবে, তা নিয়ে। আমরা গ্রামে গিয়ে সভা করে বুঝিয়ে এই প্রথাটা ভাঙার চেষ্টা করছি।”

Advertisement

পাশপাশি ব্লকের মহিলা উন্নয়ন আধিকারিক (উইমেন ডেভলেপমেন্ট অফিসার) এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মাধ্যমে কিছুদিন ধরেই গ্রামে ধারাবাহিক প্রচার হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। নতুনডির প্রতিটি বাড়ির মহিলাদের কাছে গিয়ে এই কর্মীরা ইভিএম নিয়ে কী ভাবে ভোট দিতে হয়, তার খুঁটিনাটি বোঝাচ্ছেন। বিডিও-র কথায়, “ইভিএম নিয়ে মহিলাদের কাছে গিয়ে তাঁদের মধ্যে ভোট সম্পর্কে আগ্রহ তৈরি করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন