যুব তৃণমূল নেতার জামিন

একদিন জেলে কাটিয়ে জামিন পেলেন তৃণমূল যুবনেতা। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের (৬) আদালতে আত্মসমর্পণ করতে এসে বিচারকের নির্দেশে জেল হাজত হয় বাঁকুড়া যুব তৃণমূল সভাপতি শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শুক্রবার তাঁর হয়ে জামিনের আবেদন করা হয়। ২০০০ টাকার রেজিস্ট্রার সিকিউরিটিতে মঙ্গলবার পর্যন্ত তাঁর অস্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক অজয়রাজ সিয়াংডেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৫ ০১:১৩
Share:

একদিন জেলে কাটিয়ে জামিন পেলেন তৃণমূল যুবনেতা। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের (৬) আদালতে আত্মসমর্পণ করতে এসে বিচারকের নির্দেশে জেল হাজত হয় বাঁকুড়া যুব তৃণমূল সভাপতি শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শুক্রবার তাঁর হয়ে জামিনের আবেদন করা হয়। ২০০০ টাকার রেজিস্ট্রার সিকিউরিটিতে মঙ্গলবার পর্যন্ত তাঁর অস্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক অজয়রাজ সিয়াংডেন।

Advertisement

২০১২ সালে এক পড়শি শিবাজী ও তাঁর মা তনিমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বাঁকুড়া সদর থানায় মারধরের অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ৩২৩, ৩২৫, ৪২৭ ধারায় মামলা চলছিল আদালতে। এই ঘটনায় আগেই জামিন পেয়েছিলেন দুই অভিযুক্ত। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব চলছিল। তবে সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালীন শিবাজী ও তাঁর মা আদালতে হাজির হতে পারেননি। তাই গত শনিবার দু’জনের বিরুদ্ধেই পরোয়ানা জারি করে আদালত। বৃহস্পতিবার তাঁরা আত্মসমর্পণ করতে এলে হাজিরা না দিতে পারার জন্য শিবাজীর মা তাঁর অসুস্থতার উপযুক্ত প্রমাণ দেখান। কিন্তু শিবাজী তাঁর সপক্ষে প্রামাণ্য নথি পেশ করতে পারেননি। তাই তাঁর মাকে জামিন দিলেও বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (৬) শিবাজীকে হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন। শুক্রবার শিবাজীবাবুর তরফে জামিনের আবেদন করা হলে জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।

তবে বিষয়টি সহজ ভাবে মানতে পারছেন না জেলা তৃণমূলের একাংশ। বাঁকুড়ার জেলা সভাধিপতি তথা আইনজীবী অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “শিবাজী ও তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য ধারায় মামলা চলছে। তার পরেও শিবাজীকে কেন একদিন জেলে কাটাতে হল বুঝতে পারছি না।” এ দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন শিবাজীর বহু অনুগামী। নেতার মুক্তির খবরে আদালত চত্বরে উল্লাসে ফেটে পড়েন তাঁরা। শিবাজীর দিদি তথা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারপার্সন রিঙ্কু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষোভ, “তৃণমূলের হয়ে দেওয়াল লেখার জন্য একটি মিথ্যা মামলায় আমার ভাই ও মাকে ফাঁসানো হয়েছে। তা ছাড়াও জামিন যোগ্য ধারা থাকা সত্ত্বেও আমার ভাইকে জেলে যেতে হল। আমরা সুবিচার পেলাম না।” শিবাজীর দাবি, “ঠিক সময়ে আদালতে আসার খবর পাইনি। সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আমাকে ডাকা হয়েছে জানলে নিশ্চই সময়ে আদালতে আসতাম।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন