জনসাধারণের ব্যবহার্য রামপুরহাট পাঁচমাথা মোড় সংলগ্ন শৌচাগার রাতের অন্ধকারে ভেঙে দেওয়া হয়। ওই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার বিক্ষোভ দেখাল আইএনটিইউসি প্রভাবিত রামপুরহাট ফুটপাত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সংগঠন এবং সিটু প্রভাবিত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সংগঠন।
রামপুরহাট মহকুমাশাসক উমাশঙ্কর এস বলেন, “মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের কার্যালয় ভবন নির্মাণ করা হবে। সে জন্য জায়গা খোঁজা চলছে। শহরের মধ্যে জায়গা না পাওয়া গেলে ওই অফিস জাতীয় সড়কের ধারে চলে যাবে। সেটা এলাকাবাসীর পক্ষে অসুবিধাজনক। এর জন্য মহকুমা প্রশাসনিক কার্যালয়ের জায়গা দেখা হয়েছে। তবে সেখানে একটি শৌচালয় থাকার জন্য দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। তা ছাড়া, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে শৌচালয়টি ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। তাই আইন মোতাবেক ভেঙে সেখানে রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের কার্যালয় করা হবে।”
এ দিকে, রামপুরহাট মহকুমাশাসকের এই ধরনের কার্যকলাপ জনস্বার্থবিরোধী বলে দাবি করে শহরবাসীর স্বার্থে পাঁচমাথায় জমায়েত হন ওই দুই সংগঠনের কর্মী-সমর্থকেরা। বিক্ষোভ আন্দোলন কর্মসূচির জন্য শহরে মাইকিং করা হয়। পরে সকাল সাড়ে ১০টার পর রামপুরহাট পাঁচমাথা মোড়ে শহরের বেশির ভাগ এলাকার ফুটপাত ব্যবসায়ী যখন জড় হন। পাঁচমাথা মোড়ে অবরোধ করেন। কংগ্রেসের পতাকা দেখে সিটু প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠনের সদস্য এবং নেতৃত্বরা প্রথমে এলাকা থেকে সরে যান। পরে নিজেদের পতাকা নিয়ে শহর জুড়ে মিছিল করে পাঁচমাথায় প্রতিবাদ সভা করেন। কংগ্রেসের দাবি, বিকল্প ব্যবস্থা না করে মহকুমাশাসক নিজের ক্ষমতা খাটিয়ে এই ধরনের জনস্বার্থ বিরোধী কাজ করেছেন। দিনের আলোতে করলে যাতে প্রতিরোধের মুখে না পড়তে হয়, সে জন্য রাতের অন্ধকারে এই ধরনের কাজ করেছেন। প্রতিবাদ আন্দোলন চলাকালীন মহকুমাশাসক কংগ্রেসের ৫ জনের প্রতিনিধি দলকে প্রশাসনিক কার্যালয়ে ডেকে নেন। এর পরেই সিটুর পক্ষ পথসভা করা হয়। তাঁদের দাবি, জন সাধারণের স্বার্থে বিকল্প ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক।