পানীয় জল, নিকাশি ও রাস্তাঘাট-সহ এলাকার সমস্যা মেটানোর দাবিতে লোকসভা নির্বাচনের আগেই সিউড়ি পুরসভায় বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ছাপতলার বাসিন্দারা। তথন পুরসভার পক্ষ থেকে আশ্বাস ছিল, সমস্যা মিটবে ভোটের পরেই। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। প্রতিবাদে সোমবার দিনভর ওয়ার্ডে ঢোকার মূল রাস্তা সিউড়ি-বাঁশজোড়ে গরুরগাড়ি আড়াআড়ি দাঁড় করিয়ে দিয়ে পথ অবরোধ করলেন ছাপতলার বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের হুঁশিয়ারি, এর পরেও সমস্যা না মিটলে প্রতিবাদ আরও তীব্র হবে।
ক্ষোভের কারণ কী? ছাপতলার বাসিন্দা শেখ নাসির, সিতারাম সাহা, শেখ গিয়াসউদ্দিন, শেখ আরিয়ান, মহম্মদ আজিজুলদের ক্ষোভ, “আমরা নামেই পুরসভায় বাস করি। কিন্তু দীর্ঘদিন পুরসভায় বাসবাস করলেও পাশের তিলপাড়া পঞ্চায়েতের বাঁশজোড় গ্রামের থেকেও অনেক খারাপ অবস্থা আমাদের। বৃষ্টি হলেই একহাঁটু জল জমে কাঁচা রাস্তায়। পুরসভায় নর্দমাও পরিষ্কার হয় কদাচিত। ফলে নর্দমার নোংরা জলের সঙ্গে রাস্তার জল নিশে ভয়ঙ্কর অবস্থা তৈরি হয়। ওই নোংরা জল ভেঙেই যাতায়াত করতে হয় স্কুলপড়ুয়া থেকে সকলকে।” বাসিন্দাদের দাবি, ওয়ার্ডের মধ্য দিয়ে যাওয়া সিউড়ি-বাঁশজোড় রাস্তা ধরে চলাচল করেন বাঁশজোড়, বারুইপুর, অজয়পুর-সহ বহুগ্রামের মানুষ। যে অংশটুকু ছাপতলা পাড়ায় মধ্য দিয়ে গিয়েছে সেটাই চলাচলের অযোগ্য হয়ে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরেই। বহুবার পুরসভা ও স্থানীয় কাউন্সিলরকে এ ব্যাপারে বলা হয়েছে। স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নিট ফল শূন্য। বাধ্য হয়েই এই প্রতিবাদ।
তৃণমূল কাউন্সিলর পবন মাহারার সঙ্গে এ দিন যোগযোগ করা যায়নি। সত্যিই রাস্তার অবস্থা যে খারাপ তা স্বীকার করে নিয়েছেন সিউড়ির তৃণমূল পুরপ্রধান উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়। তা হলে পুরসভা সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হচ্ছে না কেন? পুরপ্রধান বলেন, “পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ওই অংশটুকু আগে পুরসভার অংশের মধ্যে ছিল না। পরে পুর্নবিন্যাসের ফলে অন্তর্গত হয়েছে। যে রাস্তাটি নিয়ে ক্ষোভ সেই রাস্তটি দিয়ে যেহেতু পুরশহরের বাইরে অন্যান্য গ্রামে যাতায়াত করা হয় তাই সিউড়ি ১ পঞ্চায়েত সমিতি ও সিউড়ি পুরসভা মিলিতভাবে রাস্তটি তৈরি করার জন্য জেলাপরিষদকে জানিয়েছে। খুব শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনায় রাস্তাটি তৈরি করা হবে। তবে যতদিন না হচ্ছে, সেই সময়ের জন্য কিছু পাথর ও ইটের গুঁড়ো ফেলে চলাচলের যোগ্য করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যেই অবরোধ হল।”