রাস্তায় গোলাপ হাতে পুলিশ, অবাক পথচারী

উর্দিধারী পুলিশ কর্মী গোলাপ হাতে হাসি হাসি মুখে এগিয়ে আসছেন। ইংরেজি নববর্ষের সকালে শহরের পথে এ দৃশ্য দেখে অনেকেই চমকে গিয়েছিলেন। হলটা কী? চকবাজারে রাস্তার ধারে স্কুটি রেখে দোকানে ঢুকতে যাচ্ছিল দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী প্রতীক্ষা সাও। এক পুলিশ কর্মী এ গিয়ে এসে তাঁকে গোলাপ ধরালেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া ও বান্দোয়ান শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:৩৬
Share:

পুরুলিয়ার পথে পুলিশ সুপার।—নিজস্ব চিত্র।

উর্দিধারী পুলিশ কর্মী গোলাপ হাতে হাসি হাসি মুখে এগিয়ে আসছেন। ইংরেজি নববর্ষের সকালে শহরের পথে এ দৃশ্য দেখে অনেকেই চমকে গিয়েছিলেন। হলটা কী?

Advertisement

চকবাজারে রাস্তার ধারে স্কুটি রেখে দোকানে ঢুকতে যাচ্ছিল দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী প্রতীক্ষা সাও। এক পুলিশ কর্মী এ গিয়ে এসে তাঁকে গোলাপ ধরালেন। তারপর হাসিমুখে নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন। প্রতীক্ষার মতোই এক মহিলা পুলিশ কর্মীরা হাতে থেকে গোলাপ পাওয়ার সময় চমকে গিয়েছিল আরও দুই স্কুল ছাত্রী স্মৃতি সেন ও নিভা পাঠক। সঙ্গে চকোলেট। একই রকম চমকে যান ফলের পসরা সাজিয়ে বসে থাকা পুরুলিয়া মফস্‌সল থানার টাটাড়ি গ্রামের শেখ রফিকও। পরে যখন তিনি শুনলেন খোদ জেলার পুলিশ সুপার তাঁকে নিজের হাতে গোলাপ দিয়ে গেলেন, তখন রফিকের মুখ হাঁ!

বৃহস্পতিবার সকালে ঠিক এ ভাবেই পুলিশ কর্তাদের আম জনতাকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে পথে নামতে দেখল পুরুলিয়া। শহরের ভিক্টোরিয়া স্কুল মোড় থেকে হাসপাতাল মোড়, পোস্ট অফিস মোড়, কাপড়গলি মোড়, হাটের মোড়, মানভূম ক্রীড়া সংস্থার ময়দানের পাশ দিয়ে পুরনো পুলিশ লাইন মোড় ঘুরে শহরের মেন রোড, চকবাজার কালী মন্দির হয়ে পুলিশ কর্তা ও কর্মীদের এই শুভেচ্ছা মিছিল শেষ হয় পুরুলিয়া সদর থানায়। ছিলেন পুলিশ সুপার নীনকান্ত সুধীর কুমার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য, দুই ডিএসপি কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায় ও দেন্দুপ শেরপা। সঙ্গে ছিলেন শহর লাগোয়া থানাগুলির ওসিরাও।

Advertisement

পুলিশ সুপারের হাত থেকে গোলাপ পেয়ে ফল বিক্রেতা রফিকের প্রতিক্রিয়া, “দারুন অনুভূতি। এতবড় একজন মানুষ আমাকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানালেন!” শহরের বাসিন্দা বিশ্বদীপ সরকার জানান, সকালে রবীন্দ্রনাথের ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে’ এই গানের সঙ্গে পুলিশ কর্মীদের মিছিল নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময়, তাঁর মনে থাকবে। জেলা পুলিশ সুপার নীলকান্ত সুধীরকুমারের কথায়, “সাধারণ মানুষকে নিয়েই আমাদের কাজ। শুভেচ্ছা বিনিময় করে জনতা-পুলিশ সর্ম্পক আরও মজবুত করতে এই প্রয়াস। নতুন বছরের শুভেচ্ছাও জানালাম।”

একই ভাবে পথচারীদের গোলাপ ফুল দিয়ে এ দিন পথ নিরাপত্তার প্রচার চালান বান্দোয়ানের একটি একটি ক্লাবের সদস্যেরা। ট্রাফিক বিধি মানা, হেলমেট পরে মোটরবাইক চালানো, শহরকে পরিচ্ছন্ন ও সবুজ করার বিভিন্ন বার্তাও ছিল বাসিন্দাদের জন্য। বাঘা যতীন ক্লাবের অন্যতম কর্মকর্তা মহাদেব বন্দ্যোপাধ্যায়, মহম্মদ আকিল জানান, প্রতিবছর তাঁরা ক্লাবের পক্ষ থেকে পথ সচেতনতা দিবস পালন করা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন