শেওড়াকুড়িতে আটক ১১টি আলুর ট্রাক।—নিজস্ব চিত্র।
আলু বোঝাই ১১টি ট্রাক আটক করল মহম্মদবাজার থানার পুলিশ। শনিবার গভীর রাত্রে মোরগ্রাম-রানিগঞ্জ ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর শেওড়াকুড়ি মোড়ের কাছে লরিগুলি আটক করা হয়। পরে অবশ্য পুলিশ বৈধ কাগজপত্র দেখে গাড়িগুলিকে ছেড়ে দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, লরির চালকরা প্রথমে বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। সেই কারণে লরিগুলি আটক করা হয়। পরে তাঁরা সঠিক কাগজপত্র দেখালে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
সারা রাজ্যে আলুর দাম দিনকে দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে ভিন রাজ্যে আলুর রপ্তানি ঠেকাতে সরকারের তরফে পুলিশকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সে কারণে, দিন কয়েক আগে পশ্চিম মেদিনীপুরে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর ভিন রাজ্যগামী প্রায় ৩৫০ আলু বোঝাই গাড়ি আটক করা হয়। পরে রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে সেগুলি ফেরত্ পাঠানো হয়। এ দিন আলু বোঝাই লরি দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। কারণ, যে জায়গা থেকে থেকে ট্রাকগুলো আটক করা হয়েছিল, সেই শেওড়াকুড়ি থেকেই ঝাড়খণ্ডের দুমকা যাওয়ার রাস্তা চলে গিয়েছে। লরি আটকে চালকদের থেকে কাগজপত্র চাওয়া হয়। চালকরা তা দেখাতে না চাওয়ায় পুলিশের সন্দেহ বাড়ে।
চালকরা জানিয়েছেন, ভয়ে তাঁরা প্রথমে কাগজপত্র দেখাতে চাননি।
পরে তাঁদের দেওয়া কাগজপত্র দেখে জানা যায়, তাঁরা হুগলি থেকে আলু নিয়ে আসছিল। বীরভূমের সাঁইথিয়া, রামপুরহাট-সহ বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার কথা ছিল। আলু ব্যবসায়ী গৌতম মণ্ডল জানান, এ দিনও জেলায় পাইকারি ৭৫০ টাকা বস্তা আলু বিক্রি হয়েছে। আলু ব্যবসায়ী জেলা সম্পাদক দীনবন্ধু দাস বলেন, “রাজ্য সরকারের এইরকম সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। চালকরা পুলিশেরই নানা রকম কারণে ভয় পায়। সেই জন্য প্রথমে কাগজ দেখাতে চায়নি।”