তখন চলছে বৈঠক। বুধবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
শহরের রবীন্দ্রসদনের কাজের গতি নিয়ে মঙ্গলবার জেলা পরিষদের সভাধিপতির সঙ্গে দেখা করলেন সিউড়ি শহরের বিভিন্ন নাট্য সংস্থার কর্মী ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা। ছিলেন সিউড়ির তৃণমূল বিধায়ক স্বপন কান্তি ঘোষ এবং সাংসদ শতাব্দী রায়। সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী বলেন, “৩১ মার্চের মধ্যে রবীন্দ্র সদনের সংস্কার যাতে শেষ হয়, তার চেষ্টা চলছে। ১ বৈশাখ রবীন্দ্রসদন ব্যবহারের জন্য নতুন করে উদ্বোধন করা হবে।
নাট্য কর্মী ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের অভিযোগ, গত বছরের ২৮ জানুয়ারি থেকে রবীন্দ্রসদন বন্ধ রয়েছে। সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে এরপর। কিন্তু উপযুক্ত প্রশাসনিক নজরদারির অভাবে কাজ চলেছে ধীর গতিতে। এখনও পর্যন্ত রবীন্দ্রসদনের বৈদ্যুতিক কাজের দরপত্র ডাকা হয়নি। এ দিকে বৈদ্যুতিক কাজ শেষ না করে বাকি কাজ করা যাবে না বলে পূর্ত দফতর জানিয়ে দিয়েছে।
স্বপনবাবু এ দিনই সিউড়ির নাট্যজন ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের নিয়ে আলোচনায় বসেন। কয়েকদিন আগেই একটি সাহিত্য পত্রিকার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা শাসকের সামনেই রবীন্দ্রসদনের কাজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন স্বপনবাবু। এ দিন নাট্য কর্মী ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের কাছে সব কিছু শুনে জেলা পরিষদের সভাধিপতির সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন। সেখানে পূর্ত দফতরের বিভিন্ন আধিকারিকেরাও ছিলেন।
নাট্য কর্মী ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের আশা, সাংসদ বিধায়ক ও সভাপতির হস্তক্ষেপে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করে রবীন্দ্রসদনটি চালু হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য রবীন্দ্র সদন বিনোদন মঞ্চ বা প্রেক্ষাগৃহটির প্রতিষ্ঠা হয়েছে রবীন্দ্রনাথের জন্ম শতবার্ষিকির সময়ে।
বছর কয়েক আগেই তত্কালীন জেলা শাসক সঞ্জয় কৃষ্ণরাও থাড়ের তত্পরতায় ওই রবীন্দ্রসদনের সংস্কার হয়েছিল প্রচুর টাকা ব্যয়ে। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যেই রবীন্দ্রসদনের অবস্থা বেহাল হয়ে পড়ে। বর্তমানে রবীন্দ্র সদন সংস্কারের জন্য সিপিএম সাংসদ সিতারাম ইয়েচুরি তাঁর সাংসদ কোটা থেকে এক কোটি ১৫ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। বর্তমান রাজ্য সরকার দিয়েছে ৪২ লক্ষ টাকা।