দুর্ঘটনাগ্রস্ত মালগাড়ি।—নিজস্ব চিত্র।
রেলের রেক পয়েন্টে ঢোকানোর সময় লাইনচ্যুত হল একটি মালগাড়ি। লাইচ্যুত ওই মালগাড়ইর ধাক্কায় পিছনে থাকা গার্ডওয়াল সিগন্যালের পয়েন্ট বক্স এবং বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে যায়। আপ ও ডাউন লাইনের সিগন্যাল ব্যবস্থা বিকল হয়ে পড়ে। তবে কোনও বড় ধরনের বিপদ হয়নি। মঙ্গলবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে সাঁইথিয়ায় সাত নম্বর লাইনে। সাঁইথিয়ার স্টেশন ম্যানেজার উমাশঙ্কর রায় বলেন, “রেলের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। কী ভাবে এবং কার ভুলে এই ধরনের ঘটনা ঘটল সে বিষয়ে তাঁরা খোঁজ খবর শুরু করেছেন। এ নিয়ে আমি মন্তব্য করব না।”
রেল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সাঁইথিয়া রেক পয়েন্টে একটি ওয়াগনে থাকা সিমেন্ট খালি হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো সকাল সওয়া ৭টা নাগাদ রেলের কর্মীরা সিমেন্ট ভর্তি মালগাড়িটা রেক পয়েন্টে নিয়ে ঢোকাচ্ছিলেন। গাড়িটি একটু পিছনে নিয়ে যাওয়ার সময়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে। গাড়ির গতি বেশি থাকায় পিছনের দিকের সিমেন্ট ভর্তি বগি ৭ নম্বর লাইনের গার্ডওয়াল, সিগন্যাল পয়েন্ট বক্স ভেঙে যায়। হেলে পড়ে একটি বিদ্যুতের খুঁটি। ওই খুঁটি থেকে কয়েক হাত দূরে অনেকগুলি পরিবারের বাস। তবে তাঁদের কোনও ক্ষতি হয়নি। সাঁইথিয়া রেল সুত্রের খবর, রেল লাইন থেকে মাল গাড়ি নেমে যাওয়া এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার রেল লাইন থেকে মালগাড়ি মাটিতে নেমে গিয়েছিল। বছর খানেক আগেও এরকম ঘটনা ঘটেছিল। তবে বেশ কয়েক বছর আগে ভোরে সাঁইথিয়া আপ লাইনে পশ্চিম কেবিনের কাছে একটি মালগাড়ি লাইন থেকে ছিটকে রেলের কোয়াটারে ঢুকে যায়। সে সময় ওই কোয়াটারে একটি পরিবার ছিলেন। তাঁদের থেকে হাত চারেক দূরে ঘরের ভিতর মালগাড়ির ইঞ্জিন ঢুকে পড়লেও আশ্চর্যজনক ভাবে পরিবারের সকলে বেঁচে গিয়েছিলেন। সকলকে প্রায় অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বলে রেল সূত্রে জানা যায়। এ দিনের ঘটনার জন্য ট্রেন চলাচলে কোনও অসুবিধা হয়নি বলে দাবি স্টেশন ম্যানেজারের।