পুরসভায় বিক্ষোভ। বৃহস্পতিবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
পাঁচমাথা মোড়ে শৌচালয়টি চালু রাখার দাবিতে পুরসভায় স্মারকলিপি দিল রামপুরহাট শহরের বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁদের দাবি, এলাকার বহু মানুষ এটি ব্যবহার করেন। অথচ, মহকুমাশাসক শৌচালয়টি ভেঙে ফেলতে চাইছেন। মহকুমাশাসক উমাশঙ্কর এস বলেন, “শৌচালয়টি রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকঠাক হচ্ছে না। সেই জন্য দুর্গন্ধ হয়। এর জন্য ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
শহরের বাসিন্দা নিয়ামত আলি, শাহাজাদা কিনু দাবি, শৌচালয়টি শহরের প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে। বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্র ছাত্রী, শিক্ষক শিক্ষিকা, শহর সংলগ্ন এলাকার গ্রামগঞ্জ থেকে আসা সাধারণ মানুষ, রেল স্টেশনের অনেক যাত্রী ও বিশেষ করে তারাপীঠ মন্দিরে আসা দূর দূরান্তের তীর্থযাত্রীরা এটি ব্যবহার করেন। কিন্তু রামপুরহাট মহকুমাশাসক কেন শৌচালয়টি ভেঙে ফেলতে চাইছেন বুঝে উঠতে পারছি না। ঘটনা হল, শহরে নাগরিকদের সুবিধার জন্য রামপুরহাট পাঁচমাথা মোড়ে এই একটিই সুলভ শৌচালয় রয়েছে। প্রাক্তন সাংসদ রামচন্দ্র ডোমের সাংসদ এলাকার উন্নয়ন খাতে দু’লক্ষ টাকা ব্যয়ে রামপুরহাট এসডিও অফিসের প্রশাসনিক কার্যালয় চত্ত্বরে দীর্ঘদিন আগে শৌচালয়টি নির্মাণ হয়েছিল। সেটিই এখন ভেঙে ফেলার কথা ভাবা হচ্ছে। স্মারকলিপি দিতে এসে এক শহরবাসী অভিযোগ করেন, “আমরা চাই জনগণের টাকায় নির্মিত জনগণের জন্য ব্যবহৃত শৌচালয়টি না ভেঙে পুরসভা দায়িত্ব নিয়ে ভালো ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করুক।” তাঁদের আরও দাবি, শৌচালয়টিতে চান করার জন্য ব্যবস্থা করে দিক পুরসভা।
এ দিকে রামপুরহাট পুরসভার পুরপ্রধান তৃণমূলের অশ্বিনী তিওয়ারি বলেন, “জায়গাটি রামপুরহাট মহকুমা শাসকের কার্যালয়ের মধ্যে পড়ছে। এর আগে মহকুমাশাসক জায়গা দিয়েছিলেন। তখনই শৌচালয়টি হয়েছিল। বর্তমান মহকুমাশাসক ওই শৌচালয়টি ভেঙে ফেলার জন্য আমাকেও জানিয়েছেন। এ ব্যপারে যা বলার উনিই বলবেন।” তবে অশ্বিনীবাবু এও বলেন, “রামপুরহাটে শৌচালয় নির্মাণের জন্য জায়গা পাওয়া যাচ্ছিল না। জায়গা পেলে পুরসভা থেকে শৌচালয় নির্মাণ করে দেওয়া হবে।”