স্বনির্ভর গোষ্ঠী পর্যটনে নামছে, জানালেন মন্ত্রী

চাষ-আবাদ, পশুপালন, জ্যাম-জেলি-আচার তৈরি বা মোটর বাইক, মোবাইল কিংবা টিভি সারানোতেই স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে আটকে রাখতে চায় না রাজ্য সরকার। এ বার পর্যটন ব্যবসাতেও নিজেদের যুক্ত করতে চলেছে স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি প্রকল্প দফতর। এই ব্যবসায় তাদের লক্ষ্য হোম-ট্যুরিজম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:০৫
Share:

চাষ-আবাদ, পশুপালন, জ্যাম-জেলি-আচার তৈরি বা মোটর বাইক, মোবাইল কিংবা টিভি সারানোতেই স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে আটকে রাখতে চায় না রাজ্য সরকার। এ বার পর্যটন ব্যবসাতেও নিজেদের যুক্ত করতে চলেছে স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি প্রকল্প দফতর। এই ব্যবসায় তাদের লক্ষ্য হোম-ট্যুরিজম।

Advertisement

ভ্রমণ পিপাসু বাঙালির কাছে জঙ্গলমহলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হয়েছে এই দফতর। জঙ্গলের মাঝ দিয়ে তিরতির করে বয়ে যাওয়া নদী, পাহাড়ি ঝোরা কিংবা ডুংরি-টিলার মাঝে ছড়িয়ে থাকা ছোটবড় জনপদ, প্রাচীন দেউল বা রেখ-দেউল অথবা প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ছড়িয়ে রয়েছে জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে। কিন্তু পযর্টকেরা যদি এ সমস্ত জায়গায় গিয়ে প্রকৃতির মাঝে থাকতে চান বা অনুভব করতে চান জঙ্গলের নিস্তব্ধতা, তাহলে খানিকটা নিরাশই হতে হয় তাঁদের। কেন না হাতে গোনা গুটিকয় অতিথি আবাস ছাড়া তেমন পরিকাঠামো এখনও গড়ে ওঠেনি এই জেলাগুলিতে।

হোম-ট্যুরিজমকে ব্যবহার করে এ বার জঙ্গলমহলের পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় পর্যটন বাণিজ্যে হাত দিচ্ছে স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি প্রকল্প দফতরের আওতায় থাকা পশ্চিমবঙ্গ স্বরোজগার নিগম। অবশ্য তার আগে স্বনির্ভর দলগুলিকে প্রশিক্ষণ দিয়ে পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে খবর, সম্প্রতি পুরুলিয়ায় দফতরের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। হোম-ট্যুরিজমে যদি কোনও স্বনির্ভর গোষ্ঠী আগ্রহী হয়, তাহলে এই দফতর সেই গোষ্ঠীকে পরিকাঠামো গড়ে দিতে সাহায্য করবে। হোম ট্যুরিজম চালাতে ন্যূনতম পরিকাঠামো বলতে অতিথি আবাস, বিদ্যুত্‌, খাবার ব্যবস্থা, রাস্তাঘাট ইত্যাদি বোঝানো হয়েছে। তবে আগ্রহী স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে এই কাজ শুরু করার আগে ঠিক কী ধরণের চুক্তি হবে বা তাদের কোথায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

দফতরের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো বলেন, “আমরা হোম ট্যুরিজমে আগ্রহী স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে পরিকাঠামো গড়তে সহায়তা করব বলে ঠিক হয়েছে। আপাতত পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরে আমাদের দফতর এই কাজে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে সহায়তা করবে। জেলাশাসকরা প্রকল্প রিপোর্ট পাঠালে দফতর অর্থ মঞ্জুর করবে।” কী ভাবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি এই প্রকল্পে কাজ করবে সে ব্যাপারে সম্পর্কে শীঘ্রই জেলাশাসকদের কাছে নির্দেশিকা পৌঁছবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন