স্বর্ণযুগের গানই প্রাণ বক্রেশ্বরের দুর্গাপুজোর

কে নেই শিল্পী তালিকায়? ‘পথে এবার নামো সাথী’ কিংবা ‘রানার চলেছে রানার’- নিয়ে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় যেমন আছেন, আছেন ‘অনেক কথাই বলো তুমি’-র সতীনাথ মুখোপাধ্যায়, ‘এই সুন্দর স্বর্ণালী সন্ধ্যা’-র গীতা দত্ত, ‘তুমি এসেছিলে পরশু’- শচীনকর্তাও। স্বর্ণযুগের গানই যে এবার দুবরাজপুরের বক্রেশ্বর ধামের দুর্গোত্‌সবের প্রাণ।

Advertisement

অরুণ মুখোপাধ্যায়

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:৩৪
Share:

—নিজস্ব চিত্র

কে নেই শিল্পী তালিকায়? ‘পথে এবার নামো সাথী’ কিংবা ‘রানার চলেছে রানার’- নিয়ে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় যেমন আছেন, আছেন ‘অনেক কথাই বলো তুমি’-র সতীনাথ মুখোপাধ্যায়, ‘এই সুন্দর স্বর্ণালী সন্ধ্যা’-র গীতা দত্ত, ‘তুমি এসেছিলে পরশু’- শচীনকর্তাও। স্বর্ণযুগের গানই যে এবার দুবরাজপুরের বক্রেশ্বর ধামের দুর্গোত্‌সবের প্রাণ। উত্‌সবের দিনগুলোয় স্থানীয় অনুষ্ঠানে শিল্পীদের গাওয়া গানের তালিকা থেকে মণ্ডপে বাজানো গানের তালিকা- সর্বত্র এবার জায়গা করে নিয়েছে স্বর্ণযুগের শিল্পীরা।

Advertisement

হারিয়ে যাওয়া গানই কেন? উদ্যোক্তারা বলছেন, “বিস্মৃত প্রায় গানকে ফিরে শোনার একরকম প্রয়াস”। কেউ কেউ বলছেন, এমন বহু হারিয়ে যাওয়া গানের সম্ভার সংগ্রহ করে নবীন ও প্রবীণের মেল বন্ধন ঘটাতে চাইছে বক্রেশ্বর ধামের বারোয়রি কমিটি।

“ধরুন, ‘এই মোম জোছনায়’ গানটির কথা। বা ‘কে জানে ক’ ঘণ্টা’ অথবা ‘হৃদয়ের গান শিখে তো গায় গো সবাই’-এর মতো গান। এখনও এই প্রজন্মের অনেকে যেমন রিদমিক গান শোনেন, ঠিক সেই রকম আরতি মুখোপাধ্যায় বা হেমন্তর এই গানও রিদমিক। মান্নার গানে অন্য এক চিরচেনা রোমান্স। ভাল না লেগে উপায় নেই। কিন্তু এফএমের বাইরে তেমন শোনা হয় না আর।” বলছিলেন উত্‌সব কমিটির এক কর্তা। স্বর্ণযুগের গান নিয়ে এমন উদ্যোগের পিছনে আরও একটি কারণের কথা শোনালেন, স্থানীয়রা। তাঁদের কথায়, আগে ওই পুজোতে কোনও আড়ম্বর থাকত না। স্থানীয় মানুষ তেমন আনন্দ উপভোগও করতে পারতেন না।

Advertisement

২০ বছর আগে স্থানীয় আমরা সবাই ক্লাবের উদ্যোগে সর্বজনীন শারদ উত্‌সব শুরু করে। আধুনিক সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিবার সেই উত্‌সব হয়ে এসেছে। এমনীতে দেবী দুর্গার একান্ন পীঠের এক পীঠ বলে পরিচিত হলেও ফি বছর জেলার নানা প্রান্তের মানুষ ঘুরতে এসে ভিড় করেন পুজোতলায়। কথিত আছে, একান্ন পীঠের এক পীঠ বলে পরিচিত এই বক্রেশরেই দেবী দূর্গা ভ্রু-র মধ্যস্থল অর্থাত্‌ তৃতীয় নয়ন পড়েছিল। এখানে স্বপানাদেশে প্রায় দু’ফুট উচ্চতার দেবী দুর্গার অষ্টধাতুর মূর্তিটি প্রতিষ্ঠিত হয় দীর্ঘকাল আগে।

পুরনো গানকে ফিরে শুনতে পুজোর সবকটি দিন অনুষ্ঠানেও থাকছে স্বর্ণযুগের গান। জটিলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, লতা মঙ্গেশকর, আশা ভোঁশলের মতো শিল্পীদের গানই স্থানীয় শিল্পীদের গাইতে অনুরোধ করা হয়েছে। ক্লাব সম্পাদক রজীব চৌধুরী ও সদস্য গৌতম আচার্য বলেন, “স্বর্ণযুগের শিল্পীদের গানই এবার বাজানো হবে মাইকে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন