সিরশিট্টায় বিজেপিকে মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

ফের তৃণমূলের হাতে বিজেপির আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ উঠল সেই পাড়ুইয়ের সিরশিট্টায়। অন্য দিকে, ইলামবাজারের কানুর গ্রামে বিজেপিকর্মী রহিম শেখ খুনে অভিযুক্ত ১১ জনের আগাম জামিন না মঞ্জুর করল সিউড়ি আদালত। বুধবার জেলা জজ গৌতম সান্যাল ওই আবেদন খারিজ করে দেন বলে জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী রণজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৭ জুন খুন হন ইলামবাজারের ঘুড়িষা পঞ্চায়েত এলাকার কানুর গ্রামের ওই বিজেপিকর্মী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাড়ুই ও সিউড়ি শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ০১:২৩
Share:

ফের তৃণমূলের হাতে বিজেপির আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ উঠল সেই পাড়ুইয়ের সিরশিট্টায়।

Advertisement

অন্য দিকে, ইলামবাজারের কানুর গ্রামে বিজেপিকর্মী রহিম শেখ খুনে অভিযুক্ত ১১ জনের আগাম জামিন না মঞ্জুর করল সিউড়ি আদালত। বুধবার জেলা জজ গৌতম সান্যাল ওই আবেদন খারিজ করে দেন বলে জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী রণজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৭ জুন খুন হন ইলামবাজারের ঘুড়িষা পঞ্চায়েত এলাকার কানুর গ্রামের ওই বিজেপিকর্মী। ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি জাফারুল ইসলাম-সহ মোট ৩৮ জন। অভিযুক্তদের মধ্যে ১১ জন আগাম জামিনের আবেদন জানান সিউড়ি জেলা জজের কাছে। যদিও ওই তালিকায় ব্লক সভাপতি ছিলেন না।

ঘরছাড়া দলীয় কর্মীদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে বুধবার ওই গ্রামে গিয়েছিলেন বিজেপির প্রতিনিধি দল। অভিযোগ, গ্রামে ঢোকার মুখেই তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হতে হয়েছে তাঁদের। এ দিন সন্ধ্যায় পাড়ুই থানায় সিরশিট্টার ১৭ জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগও দায়ের করেছে বিজেপি। বিজেপির জেলা সম্পাদক উজ্বল মজুমদার বলেন, “সিরশিট্টায় ঢুকতেই ওরা ইঁট বৃষ্টি শুরু করল। মারধরে আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন। তৃণমূলের লোকেরা গাড়িতেও ভাঙচুর চালিয়েছে।” দলের জেলা সভাপতি দুধকুমার মণ্ডল বলেন, “শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন অর্জুন সাহা, নিমাই দাস, হৃদয় ঘোষের মতো বিজেপি নেতারা। তাঁদের গাড়ি ভাঙচুর ও মারধর করা হয়েছে।”

Advertisement

বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়ে এলেও গ্রামে ঢোকার সময় গাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে শুরু করে গ্রামের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। তাতে তাঁদের দু’জন জখম হয়েছেন । তৃণমূলের দাবি অবশ্য, বিজেপি এলাকা অশান্ত করতে এসেছিল বলেই বাধা দেওয়া হয়েছে। তবে মারধরের অভিযোগ ঠিক নয়। তৃণমূলের সিউড়ি ২ ব্লকের সভাপতি নুরুল ইসলাম বলেন, “প্রতিনিধি দল এলে তাতে পাঁচ সাত জন থাকতে পারেন। ২০টি গাড়িতে করে লোকজন নিয়ে এসে গ্রামে শান্তি ফেরানোর পেছনে আসল উদ্দেশ্য কী তা সকলেই বুঝছেন। গ্রামের মানুষ তা হতে দেবেন কেন?”

জেলার এক পুলিশ কর্তা বলেন, “নিষেধ অগ্রাহ্য করে বিজেপির লোকজন ওই গ্রামে গিয়েছিলেন। তবে কেন ওঁরা বাধাপ্রাপ্ত হলেন সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন