সমবায় নিয়ে এ বার কমিটি গঠন কর্মীদের

গ্রাহকদের গচ্ছিত টাকা ফেরত দিতে পারছে না সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি। ফলে গ্রাহকদের কাছে নানাভাবে হেনস্থা হতে হচ্ছে সমবায়ের কর্মীদের। সেই জন্য কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কে গচ্ছিত সমবায়ের ৫২ কোটি টাকা ফেরতের দাবিতে ও নিজেদের সম্মান বাঁচাতে এবার সংগঠিত হতে চলেছেন কৃষি উন্নয়ন সমিতির কর্মীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৪ ০১:১৭
Share:

গ্রাহকদের গচ্ছিত টাকা ফেরত দিতে পারছে না সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি। ফলে গ্রাহকদের কাছে নানাভাবে হেনস্থা হতে হচ্ছে সমবায়ের কর্মীদের। সেই জন্য কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কে গচ্ছিত সমবায়ের ৫২ কোটি টাকা ফেরতের দাবিতে ও নিজেদের সম্মান বাঁচাতে এবার সংগঠিত হতে চলেছেন কৃষি উন্নয়ন সমিতির কর্মীরা। রবিবার দুপুরে সাঁইথিয়ার একটি লজে বৈঠক করেন তাঁরা। ছিলেন কৃষি উন্নয়ন সমিতির অধিকাংশ শাখা ম্যানেজার ও কর্মীরা।

Advertisement

গত ১৬ মে জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের অচলাবস্থার সঙ্গে সঙ্গে সমিতিগুলিও মুখ থুবড়ে পড়ে। কার্যত সমিতির লেনদেন বন্ধও হয়ে গেছে। হঠাৎ লেনদেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সমস্ত স্তরের কর্মীরা। সমিতিগুলির ম্যানেজার ও কর্মীরা জানান, তাঁদের গচ্ছিত টাকা ফেরতের দাবিতে সিউড়ি কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির প্রধান কার্যালয়ে যাচ্ছেন। আর খালি হাতে ফিরে আসছেন। এ দিন দুপুরে সমস্ত স্তরের কর্মীদের বৈঠক ডাকা হয়, সাঁইথিয়ার একটি লজে। বৈঠকে আহ্বায়ক বাসেদ শেখ বলেন, “জেলায় ৩৩১টা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি (এস কে ইউ এস) আছে। এই সমস্ত সমিতি গুলি কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের অধীনে। সমিতি গুলির ৫২ কোটি টাকার মত ওই কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কে গচ্ছিত আছে। সে টাকা ফেরতের দাবিতেই এই বৈঠক।

নলহাটি এক-এর সুলতানপুর এসকেইউএস- এর ম্যানেজার অসীম কুমার সেন জানান, তাঁর সমিতির ২.২৫ কোটি জমা আছে। নলহাটির কয়থার সমিতির ৫.৮০ কোটি টাকাও জমা আছে বলে জানান ওই সমিতির কর্মী নাসেদ শেখ। এ দিনের সভায় সভাপতিত্ব করেন, মুরারই নন্দীগ্রামের সমিতি ম্যানেজার সত্যরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “এই সভায় বীরভূম জেলা সমবায় কৃষি উন্নয়ন রক্ষা কমিটি নামে একটি নতুন কমিটি গঠন করা হল। কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক করা হয়েছে মহম্মদবাজারের সেকেড্ডা সমিতির ম্যানেজার কাজী হুমায়ুন কবির এ দিনের আহ্বায়ক বাসেদ শেখকে।” হুমায়ুনবাবু বলেন, “পুজো পরবের ও বর্ষার আগে এই অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়ায় আমরা ভীষন সঙ্কটের মধ্যে পড়েছি। কর্মীদের বেতন সমস্যাতো আছেই। সেই সঙ্গে যাঁরা টাকা জমা রেখেছেন একদিকে তাঁরা দাবি জানাচ্ছেন টাকা ফেরতের।” তিনি জানান, এ দিনের সভায় সিধান্ত নেওয়া হয়েছে এ ব্যাপারে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের এআরসিএস-এর সঙ্গে দেখা করে সমস্যার কথা জানানো হবে। প্রয়োজনে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, “দ্রুত সমস্যা মেটানোর জন্য আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement