ছাত্রাবাস তৈরির কাজ পরিদর্শনে গিয়ে বাসিন্দাদের একাংশের হাতে মার খেলেন জেলাপরিষদের দুই ইঞ্জিনিয়র। ঘটনার জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ছাত্রাবাস তৈরির কাজও। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে ইলামবাজার ব্লকের বিলাতি পঞ্চায়েতের মেটেকোনা গ্রামে। তবে, মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট দফতরের তরফে জনা সাতেক বাসিন্দার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু হয়েছে।”
জেলা পরিষদ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, মেটেকোনা গ্রামে কেন্দ্র সরকারের সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রকের এমএসডিপি (মাল্টি সেক্টরাল ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রাম) প্রকল্পে ৪৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তিন হাজার বর্গ ফুটের একটি ছাত্রাবাস তৈরির কাজ চলছে। গত রবিবার সেখানে ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। সেই কাজই দেখতে গিয়েছিলেন জেলাপরিষদের দুই আধিকারিক, অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র অরবিন্দ সাহা এবং সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র মহম্মদ মুক্তার আলম। তাঁদের অভিযোগ, “কাজ তখন প্রায় শেষের দিকে। ১০০-১৫০ বর্গ ফুট ঢালাই বাকি। ঠিক তখনই সদলবলে কয়েক জন বাসিন্দা আমাদের উপরে চড়াও হন।” নিম্নমানের কাজ হচ্ছে, এই অজুহাত তুলে ওই বাসিন্দারা ঢালাইয়ের কাজ বন্ধ করে দেন। ওই সরকারি আধিকারিকদের কিল, চড় ও ঘুসিও মারা হয় বলে অভিযোগ। তাঁদের আটকেও রাখা হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গ্রামে গিয়ে ওই আধিকারিকদের উদ্ধার করেন। সোমবার বক্রেশ্বরে একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ায় ওই আধিকারিকেরা জেলার সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী এবং অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) বিধান রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। তবে, মঙ্গলবারই নিজেদের নিরাপত্তা এবং দোষীদের শাস্তি চেয়ে অরবিন্দবাবুরা তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন। তারই পরেই দফতরের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
পুলিশ ও এলাকা সূত্রের খবর, ঘটনায় যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগের তির, তাঁরা এলাকায় স্থানীয় পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান একরামুল হকের অনুগামী বলেই পরিচিত। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলেও ওই উপপ্রধান ফোন ধরেননি। তবে, জেলাপরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূলের ইলামবাজার ব্লক সভাপতি জাফারুল ইসলাম বলেন, “ওই ঘটনায় দলের কেউ জড়িত নন। রবিবার একটি ঝামেলা হয়েছিল। ভুল বোঝাবুঝি থেকেই কয়েক জন গ্রামবাসী ঘটনাটি ঘটিয়েছেন। তবে, যেটা হয়েছে, অন্যায় হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “ঠিক কী ঘটেছিল তা জানিয়ে পঞ্চায়েতের তরফে একটি রিপোর্ট জেলাপরিষদকে দিতে বলা হয়েছে। জেলাপরিষদ পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে থাকলে আইন আইনের পথেই চলবে। তবে নিম্নমানের কাঁচামাল ব্যবহৃত হচ্ছিল, এমন একটা অভিযোগ গ্রামবাসীদের তরফেও ছিল। সেটাও দেখা উচিত।” অন্য দিকে, বিকাশবাবু বলেন, “আমার আধিকারিকদের উপর যাঁরা চড়াও হয়েছিল, তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। পাশাপাশি গ্রামবাসীদের যে অভিযোগ, সেটা খতিয়ে দেখতেও আমি মেটেকোনায় যাব।”
দুর্ঘটনায় মৃত্যু মোটরবাইক থেকে পড়ে গিয়ে দশ চাকা লরির চাকায় পিষে মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। মঙ্গলবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে রামপুরহাট-সাঁইথিয়া রাস্তার উপর, মাড়গ্রাম থানার তারাপীঠ তিন মাথা মোড়ের কাছে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম নন্দদুলাল দাস (৫০)। বাড়ি রামপুরহাট পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের চাকলা মাঠ এলাকায়। লরিচালক পলাতক। তবে, লরিটিকে পুলিশ আটক করেছে।