হোমে ঠাঁই নির্যাতিতা বধূর

নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন বলে প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। তাই শনিবার বিকেলে দুবরাজপুরের পদুমা অঞ্চলে নির্যাতিতা আদিবাসী বধূকে হোমে পাঠাল প্রশাসন। জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী বলেন, “দুবরাজপুরের বিডিও’র কাছে ওই বধূ লিখিত ভাবে নিরাপত্তা সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন। সেই আবেদনের পরই তাঁকে হোমে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুবরাজপুর শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:৪৮
Share:

নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন বলে প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। তাই শনিবার বিকেলে দুবরাজপুরের পদুমা অঞ্চলে নির্যাতিতা আদিবাসী বধূকে হোমে পাঠাল প্রশাসন। জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী বলেন, “দুবরাজপুরের বিডিও’র কাছে ওই বধূ লিখিত ভাবে নিরাপত্তা সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন। সেই আবেদনের পরই তাঁকে হোমে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।”

Advertisement

গত শুক্রবার গভীর রাতে দুবরাজপুরের বিদাইপুর গ্রামের এক আদিবাসী বধূকে যৌন নিগ্রহ করা ও সালিশি সভা করে রবিবার তাঁকে গ্রামছাড়া করায় অভিযুক্ত ছিল গ্রামের দুই আদিবাসী যুবক। গত সোমবার রাতে নির্যাতিতা এই মর্মে দুবরাজপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ জামা পড়ার পর দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারেনি। ওই নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার দুবরাজপুর আদালতে গোপন জবানবন্দি দেওয়ার পর নির্যাতিতাকে তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়িতে (দুবরাজপুরেরই অন্য গ্রামে) পৌঁছে দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু সেখানেও থাকতে ভয় পাচ্ছিলেন তিনি। নির্যাতিতার দাবি, দোষীদের পরিবর্তে ঘটনার জন্য সকলে তাঁর চরিত্রের প্রতিই দোষারোপ করছিলেন। তিনি আরও দাবি করেন, কোনও আদিবাসী সমাজে তাঁকে যেন তাঁকে থাকতে দেওয়া না হয় সে জন্য শনিবার সভা হচ্ছিল বলে তিনি শুনতে পান। এর পরেই তিনি বিডিও-র কাছে নিরাপত্তার আবেদন জানিয়েছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন