নির্বাচন হয়েছে গত শনিবার। তাতে ফের ছাত্র সংসদের দখল নিয়েছে টিএমসিপি। তার পর সাত দিনে দু’বার শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেও সংসদের পদাধিকারী ঠিক করতে পারেননি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতারা। কে হবেন সাধারণ সম্পাদক, বিরোধ মূলত তাই নিয়েই।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে জয়া দত্ত গোষ্ঠী ও অশোক রুদ্র গোষ্ঠীর বিরোধ বহু দিনের। ছাত্র সংসদের নির্বাচনকে ঘিরে সেই বিরোধ মাত্রা ছাড়িয়েছে। ভোটপর্ব মিটতেই দু’পক্ষ নিজেদের প্যানেলে জয়ীদের পদে বসাতে মরিয়া। জয়া দত্ত গোষ্ঠী মণিশঙ্কর মণ্ডল এবং অশোক রুদ্র গোষ্ঠী আব্দুল কাইয়ুম মোল্লাকে সাধারণ সম্পাদক করতে চায়। বিরোধ গড়িয়েছে শিক্ষামন্ত্রী পর্যন্ত। তিনি দু’পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেছেন। শনিবারও বৈঠক হয়েছে। কিন্তু জট খোলেনি। সংগঠন সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে দু’পক্ষের নেতাদের শিক্ষামন্ত্রী জানিয়ে দেন, আপনারা সর্বসম্মত প্রার্থী ঠিক করতে না পারলে ছাত্রী-প্রতিনিধিকে সাধারণ সম্পাদক পদে বসানো হবে।
বারাসত সরকারি কলেজের নির্বাচিত চাত্র সংসদের কমিটি নিয়েও আলোচনা হয়। অভিযোগ, সংসদের কমিটি বদলের জন্য কলেজের অধ্যক্ষকে চাপ দিচ্ছেন জয়াদেবী। যে কারণে গত শুক্রবার বিধানসভায় তাঁকে ভর্ৎসনা করেন পার্থবাবু। এক ছাত্রনেতা বলেন, ‘‘আসল কথা বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান সুনীল মুখোপাধ্যায়ের অঙ্গুলিহেলনে কমিটি গঠন হয়েছে। পার্থদা তা জানার পরেই সহ সম্পাদকের পদে মনোনীত প্রার্থীকে সরিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়ে দেন।’’ যদিও সুনীলবাবু বলেন, ‘‘এই অভিযোগ একেবারেই ঠিক নয়।’’