Calcutta High Court

মুসলিম সংরক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন আদালতে

আদালতের খবর, ২০১০ সালে ‘ওবিসি’ গোত্রের মধ্যে দু’টি ভাগ করা হয় এবং তাতে ‘এ’ গোত্রের মধ্যে তুলনায় বেশি পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীকে রাখা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৪ ০৭:৩৯
Share:

কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

পশ্চিমবঙ্গে অনগ্রসর শ্রেণি হিসেবে মুসলিমদের সংরক্ষণের পদ্ধতি আইনি ভাবে বৈধ নয় বলে দাবি উঠেছে রাজ্যে। এ ব্যাপারে কলকাতা হাই কোর্টে মামলাও চলছে। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলায় মঙ্গলবার নিজেদের বক্তব্যের পক্ষে একগুচ্ছ যুক্তি দিলেন মামলাকারী অমলচন্দ্র দাসের আইনজীবীরা। তাঁদের বক্তব্য শোনার পরে কোর্ট জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে ফের এই মামলার শুনানি হবে।

Advertisement

এ দিন মামলাকারীর আইনজীবী গুরু কৃষ্ণকুমার, বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায়, সুদীপ্ত দাশগুপ্ত, দেবযানী রায় তাঁদের সওয়ালে জানান, কীসের ভিত্তিতে মুসলিমদের ৪১টি গোষ্ঠীকে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি-এ) ভিত্তিতে আনা হল তা স্পষ্ট নয়। সাধারণত, এ ক্ষেত্রে সামাজিক, শিক্ষাগত অথবা অর্থনৈতিক অবস্থা বিচার করা হয়। কিন্তু সে সব বিচার না করেই ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে’ মর্জিমাফিক সংরক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

আদালতের খবর, ২০১০ সালে ‘ওবিসি’ গোত্রের মধ্যে দু’টি ভাগ করা হয় এবং তাতে ‘এ’ গোত্রের মধ্যে তুলনায় বেশি পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীকে রাখা হয়। নির্দেশিকা প্রকাশের ৬ মাসের মধ্যে রাজ্যের ৪২টি মুসলিম গোষ্ঠীর মধ্যে ৪১টিকে ‘ওবিসি-এ’ গোত্রের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আইনজীবীদের একাংশের মতে, এর আগে নৃতাত্ত্বিক সমীক্ষা প্রয়োজন। তা ছাড়া, বিরোধী মত থাকলে তা নিয়েও শুনানি করতে হয়।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন