পথ, সেতু বেহাল? জানালেই সুরাহা

রাস্তার হালহকিকত জানতে ২০১৬ সালে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর (৯০৭৩৩৬২০০০) চালু করেছিল পূর্ত দফতর। তাতে শুধু রাস্তার হাল জানাতে পারত আমজনতা। গত ১ অগস্ট থেকে সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে সেতু, কালভার্ট, ভবন, উড়ালপুলও। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে অভিযোগ জানালে আদৌ কোনও কাজ হয় কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বঙ্গবাসীর মধ্যে। সেই গণ-সংশয় কাটাতেই অবশেষে সক্রিয় হয়েছে পূর্ত দফতর।

Advertisement

চন্দ্রপ্রভ ভট্টাচার্য ও  প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০১৮ ০৪:৪৩
Share:

এ বার নোটিফিকেশন থেকেই পড়ে ফেলা যাবে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ।

শুধু রাস্তা নয়। সেতু, কালভার্ট, বিভিন্ন ভবন ও উড়ালপুলের অবস্থা কেমন, তা-ও আমজনতার চোখ দিয়েই দেখতে চাইছে পূর্ত দফতর। রাস্তাঘাটের সঙ্গে এই সব বিষয়েও পূর্ত দফতরের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে অভিযোগ জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ। সেই সব অভিযোগের প্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বা হতে পারে, দু’-এক দিনের মধ্যেই সেটা অভিযোগকারীকে জানাবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকেরা।

Advertisement

রাস্তার হালহকিকত জানতে ২০১৬ সালে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর (৯০৭৩৩৬২০০০) চালু করেছিল পূর্ত দফতর। তাতে শুধু রাস্তার হাল জানাতে পারত আমজনতা। গত ১ অগস্ট থেকে সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে সেতু, কালভার্ট, ভবন, উড়ালপুলও। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে অভিযোগ জানালে আদৌ কোনও কাজ হয় কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বঙ্গবাসীর মধ্যে। সেই গণ-সংশয় কাটাতেই অবশেষে সক্রিয় হয়েছে পূর্ত দফতর।

১ অগস্ট ওই দফতরের এক নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পূর্ত দফতর (রাস্তা) রিসোর্স ডিভিশন, ডিরেক্টরেটের এক জন এগ্‌জিকউটিভ ইঞ্জিনিয়ার এই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরের অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখবেন। তার পরে তিনি সংশ্লিষ্ট জেলায় পূর্ত দফতরের নিজস্ব হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তা পাঠিয়ে দেবেন। সেখানে আছেন জেলার এগ্‌জিকউটিভ ইঞ্জিনিয়ারেরা। তা পাঠানো হবে পূর্ত দফতরের পদস্থ আধিকারিকদের কাছেও।

Advertisement

এত দিন হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে অভিযোগ পাঠালে তার প্রাপ্তিস্বীকার সম্পর্কেই অন্ধকারে থাকতেন অভিযোগকারী। নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, অভিযোগকারীকে হোয়াটসঅ্যাপ মারফত একটি অভিযোগ-নম্বর দেওয়া হবে। একই সঙ্গে কম্পিউটারে তা নথিভুক্তির সময়ে অভিযোগের দিন, অভিযোগকারীর নাম (প্রয়োজনে), অভিযোগের বিরবণ লিখতে হবে দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার-কর্মীদের। সংশ্লিষ্ট জেলাকে পাঠানোর পরে সেখান থেকে কী সাড়া পাওয়া গেল, তা-ও নথিভুক্ত করবে পূর্ত দফতর। জেলায় অভিযোগ যাওয়ার দু’-এক দিনের মধ্যে সেই বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হল, অভিযোগকারীকে তা হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরের মাধ্যমেই জানিয়ে দেবেন দায়িত্বপ্রাপ্তেরা।

কিন্তু জনগণকে ওই নম্বর জানানো হচ্ছে কী ভাবে সেই প্রশ্নটি বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। শুধু বিধানসভায় নম্বরটি দেওয়া হলে আমজনতা কী ভাবে জানতে পারবে, তা নিয়ে সংশয় এখনও রয়েছে বলে জানাচ্ছে সংশ্লিষ্ট মহল। কারণ, পূর্ত দফতরের ওয়েবসাইট ছাড়া এই নম্বরটি জানার কার্যত অন্য কোনও সুযোগ নেই সাধারণ মানুষের। প্রশ্ন উঠছে, তা হলে এমন হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করার অর্থ কী? সাধারণ মানুষই যদি সেটি জানতে না-পারেন, দফতরে অভিযোগ পাঠাবেন কী ভাবে?

কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, পূর্ত দফতরের মেরামত করা রাস্তায় সাইনবোর্ড লাগানোর কাজ চলছে। সেই সাইনবোর্ডেই হোয়াটসঅ্যাপটি নম্বর দেওয়া থাকবে।

হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর

৯০৭৩৩৬২০০০

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন