বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) চেয়ারম্যান পদ নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের মধ্যে জট ছাড়াতে বাদী-বিবাদী দু’পক্ষকেই দিল্লিতে ডেকে পাঠানোর নির্দেশ দিলেন রাহুল গাঁধী।
দলের মত অগ্রাহ্য করেই পিএসি-র চেয়ারম্যান পদে রয়ে গিয়েছেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বর্ষীয়ান বিধায়ক মানস ভুঁইয়া। দলের হাইকম্যান্ডের সবুজ সঙ্কেত পেয়ে তাঁকে কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। শো-কজের জবাবে প্রদেশ সভাপতির এক্তিয়ার নিয়েই পাল্টা প্রশ্ন তুলছিলেন মানসবাবু! এর পরে আজ দিল্লিতে তিনি দেখা করেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুলের সঙ্গে। তাঁর কাছেও অধীর এবং বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের ভূমিকা সম্পর্কে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মানসবাবু। রাহুল আবার পাল্টা জানতে চেয়েছেন, দলের বার্তা মেনে তিনি পিএসি-র চেয়ারম্যানের পদ ছেড়েই বা দিলেন না কেন? বক্তব্য শোনার পরে রাহুল শেষমেশ পশ্চিমবঙ্গে দলের ভারপ্রাপ্ত এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক সি পি জোশীকে নির্দেশ দিয়েছেন, অধীর, মান্নান ও মানসকে নিয়ে একসঙ্গে আলোচনায় বসতে। তার পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, হাইকম্যান্ডের তরফে মানসবাবুর কাছে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, তাঁকে শেষ পর্যন্ত পিএসি চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে দিতেই হবে। মানসবাবু অবশ্য রাহুলের সঙ্গে বৈঠকে অজস্র যুক্তি পেশ করে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, পিএসি-র চেয়ারম্যানের পদটি সাংবিধানিক। সংসদে বা বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দলই ওই কমিটির পদ পেয়ে থাকে। ওই পদ গ্রহণ না করার ব্যাপারে তাঁকে আগাম কিছু জানানো হয়নি বলেও সবংয়ের বিধায়কের অভিযোগ। বিধানসভার নিয়মাবলি দেখিয়ে মানসবাবু যুক্তি দিয়েছেন, এক বছরের জন্য পাওয়া পিএসি-র চেয়ারম্যান পদ হঠাৎ ছেড়ে দেওয়াও সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতি থেকে পথ বার করতেই জোশীকে রাহুল বলেছেন, মানস, অধীর ও মান্নানকে নিয়ে একসঙ্গে বসতে। অগস্টের প্রথম সপ্তাহে এই বৈঠক হতে পারে।
আপাতত মানসবাবু অবশ্য কলকাতায় ফিরে শুক্রবার ফের পিএসি-র বৈঠক করবেন। আর বিরোধী দলনেতা মান্নান বলেছেন, ‘‘দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেই পিএসি-র পদ বামেদের ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এখনও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যে সিদ্ধান্ত নেবেন, তা-ই মেনে নেব।’’