রাহুল গাঁধী। ফাইল চিত্র।
বাংলার কংগ্রেস নেতাদের দিল্লিতে ডেকে পাঠালেন রাহুল গাঁধী। দু’বছর আগে বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যের কংগ্রেস নেতাদের মুখোমুখি বসে তাঁদের মত শুনেছিলেন রাহুল। কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার পরে লোকসভা ভোটের আগে ফের সেই মত নেওয়ারই কাজ রাহুল করতে চাইছেন বলে দলীয় সূত্রের ব্যাখ্যা।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে সোমবার এআইসিসি থেকে জানানো হয়েছে, রাহুল আগামী ৬ জুলাই বাংলার নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে চান। অধীরবাবু এআইসিসি-র কাছে প্রস্তাব দিয়েছেন, প্রাক্তন ও বর্তমান সাংসদ ও বিধায়ক, প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি ও প্রদেশ কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতাদের বৈঠকে ডাকা হোক। বামেদের সঙ্গে দলের সমঝোতা আরও পাকা করতে চেয়ে সম্প্রতি নোট তৈরি করে বামফ্রন্টের দলগুলির কাছে পাঠিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা ওমপ্রকাশ মিশ্র। আবার সাংসদ আবু হাসেম (ডালু) চৌধুরী দিনকয়েক আগে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন বিজেপি-বিরোধী ‘মহাজোট’ চেয়ে। এমতাবস্থায় জোটের প্রশ্নেই রাহুল তাঁদের মত শুনতে পারেন বলে মনে করছেন প্রদেশ নেতৃত্ব।
অধীরবাবু অবশ্য এ দিন বলেন, ‘‘রাহুল যা জানতে চাইবেন, বলব।’’ বাম না তৃণমূল, কার হাত ধরা হবে— এই প্রশ্নে বাংলার কংগ্রেসে যখন দ্বিমত আছে, সেখানে প্রদেশ সভাপতির নিজের মত কী? অধীরবাবু বলেন, ‘‘পরিবর্তনের হাওয়ায় তৃণমূলের সঙ্গে জোট করে কংগ্রেস যত বিধানসভা আসন জিতেছিল, পরে বামেদের সঙ্গে গিয়ে তার চেয়ে বেশি পেয়েছে। আর ২০১১-র পর থেকে লাগাতার বিধায়ক ভাঙিয়ে, জেলা পরিষদ ভেঙে, পুরসভার বোর্ড দখল করে জনপ্রতিনিধিদের টেনে নিয়ে কারা কংগ্রেসকে ভাঙছে, সে তো দিনের আলোর মতো পরিষ্কার!’’
রাহুল যাঁকে প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্ব দিয়েছেন, সেই গৌরব গগৈ এ দিনই ফের কলকাতায় এসেছেন। বসিরহাটে পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে এসে বৈঠক করেছেন বড়বাজারে।