বরাভূম স্টেশনে চলছে বিক্ষোভ। সোমবার সকালে। নিজস্ব চিত্র।
ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টি-সহ বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠনের অবরোধের জেরে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের রেল পরিষেবা। সোমবার সকাল ৬টা থেকে টানা অবরোধের জেরে বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়ে একাধিক ট্রেন। নাকাল হন নিত্যযাত্রীরা। পরে অবরোধ উঠলে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয় পরিষেবা।
অবরোধে পুরনো মালদহ ও গাজল স্টেশনে অবরোধের জেরে আটকে পড়ে উত্তরবঙ্গগামী একাধিক ট্রেন। সকাল ৬টা থেকে পুরনো মালদহ স্টেশনে আটকে যায় পদাতিক এক্সপ্রেস। প্রায় ঘণ্টা চারেক আটকে ছিল।
মালদহ স্টেশনে ব্রহ্মপুত্র মেল-সহ ৪টি ট্রেন আটকে পড়ে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনের বিভিন্ন স্টেশনেও অবরোধ দেখানো হয়।বিহারের কিষানগঞ্জ স্টেশনে আটকে পড়ে এনজেপি-কলকাতা শতাব্দী এক্সপ্রেস। অবরোধের ফলে দীর্ঘক্ষণ আটকে যায় গুয়াহাটি-হাওড়া সড়াইঘাট এক্সপ্রেস, এনজেপি-কাটিহার ডিএমইউ, এনজেপি-মালদহ ডিএমইউ। আটকে পড়ে আপ কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস, দার্জিলিং মেলও। প্রায় পাঁচ-ছয় ঘণ্টা আটকে থাকে কোনও কোনও ট্রেন। কোনও ট্রেন আবার তার থেকেও বেশি সময় আটকে থাকে বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছে।
জমি সংস্কার আইন, চাকরি-সহ একাধিক দাবিতে ঝাড়খণ্ড সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বন্ধের ডাক দিয়েছিল ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টি-সহ বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠন। রেল অবরোধেরও ডাক দিয়েছিল ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টি।
বরাভূম স্টেশনে আটকে যাত্রীরা। নিজস্ব চিত্র।
অভিযোগ, আগে থেকে জানা থাকলেও রেলের তরফে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। কথা বলা বলা হয়নি রাজ্য সরকারের সঙ্গেও।
আরও পড়ুন: পিকনিতে গোলমাল, ‘শ্লীলতাহানি’, রেল অবরোধে বন্ধ বনগাঁ লাইন
অভিযোগ, রেলের এই উদাসীন মনোভাবের জন্যই এ দিন পরিস্থিতি চরম আকার নেয়।