হাওড়া এবং কেরলের এর্নাকুলামের মধ্যে অন্ত্যোদয় এক্সপ্রেস চালু হয় গত বছরের মার্চে। মাত্র ১৪-১৫ মাসের মধ্যে সেই ট্রেনের সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে এ বার সাঁতরাগাছি ও চেন্নাই সেন্ট্রালের মধ্যে নতুন একটি অন্ত্যোদয় এক্সপ্রেস চালু করতে চলেছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল।
জীবিকা, চিকিৎসা ইত্যাদি প্রয়োজনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে কম খরচে দক্ষিণের বিভিন্ন রাজ্যে যাতায়াত বাড়ছে। চাহিদা মেটাতে সাঁতরাগাছি থেকে চেন্নাই পর্যন্ত নতুন অন্ত্যোদয় এক্সপ্রেস চালানো হচ্ছে। এলএইচবি (লিঙ্ক হফম্যান বুশ) কোচের ওই ট্রেন মাত্র ২৮ ঘণ্টায় সাঁতরাগাছি থেকে চেন্নাইয়ে পৌঁছবে। সব ঠিক থাকলে সোমবার নতুন ট্রেনের সূচনা করবেন রেল প্রতিমন্ত্রী রাজেন গোহাঁই।
রেল সূত্রের খবর, বছর তিনেক আগে দূরপাল্লার ট্রেনে যাত্রীদের আন্তঃরাজ্য যাতায়াতের প্রবণতার উপরে ভিত্তি করে কয়েকটি বিশেষ পথ চিহ্নিত করেছিল রেল বোর্ড। তখনই পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশার মতো রাজ্য থেকে যাত্রীদের দক্ষিণ ভারতে যাওয়ার প্রবণতা চোখে পড়ছিল। রেলের এক কর্তা জানান, হাওড়া-এর্নাকুলাম সাপ্তাহিক এক্সপ্রেসে শুধু হাওড়া থেকেই মাসে গড়ে আট হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। হাওড়া থেকেই গড়ে ৪০ লক্ষ টাকার টিকিট বিক্রি হয়। অন্ত্যোদয় এক্সপ্রেসের সব কামরা অসংরক্ষিত হলেও স্বাচ্ছন্দ্যের মান প্রায় সংরক্ষিত কামরার মতোই। আরামদায়ক আসন, জৈব শৌচালয়— সব সুবিধাই থাকে।