State News

রাতভর বৃষ্টিতে ভাসল দক্ষিণবঙ্গ, ভারী বৃষ্টি চলবে আরও দু’দিন

জেলাগুলির মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বীরভূমের। সেখানে একাধিক গ্রাম জলমগ্ন। জলের নীচে লাভপুর, মিরিটি এবং বলরামপুর। দুবরাজপুরে শাল নদীর জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে পানীয় জলের পাইপলাইন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৭ ১৪:১০
Share:

মহাত্মা গাঁধী রোড।

আগামী সোমবার পর্যন্ত বৃষ্টি চলবে। এমনটাই পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ফলে এখনই বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই পাবে না কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গ। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

Advertisement

ওড়িশা থেকে বঙ্গোপসাগরের উপর সৃষ্ট নিম্নচাপ অক্ষরেখা গত তিন দিন ধরে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হয়। তার সঙ্গে জুড়েছে ঘূর্ণাবর্ত। বাংলাদেশ ও লাগোয়া দক্ষিণবঙ্গের উপরে ঘূর্ণাবর্তটি রয়েছে। তবে সেটি এখনও নিম্নচাপে পরিণত হয়নি। তার আগেই টানা বৃষ্টিতে জেরবার মহানগর-সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ। আবহবিদেরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণাবর্তের সঙ্গে মৌসুমী অক্ষরেখাটিও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে বঙ্গেপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এই জোড়া ফলাতেই ঘায়েল দক্ষিণবঙ্গ। ফলে রবিবার ও সোমবার কলকাতা-সহ উপকূলীয় জেলাগুলিতে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা জেলা প্রশাসনগুলির। শুক্রবার রাত থেকে দফায় দফায় বৃষ্টির পরেও কলকাতার কোনও এলাকা তেমন ভাবে জলমগ্ন হওয়ার খবর নেই। পুরসভা সূত্রের খবর, শুক্রবার রাত থেকে এ দিন সকাল সাড়ে ন’টা পর্যন্ত বেহালা, নিউ আলিপুর, জোকায় ৫০ মিলিমিটারের উপরে বৃষ্টি হয়েছে। পাটুলিতে ৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: নিট-এ প্রশ্নের ধরন ভুল, মানলেন মন্ত্রী

Advertisement


চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ।

জেলাগুলির মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বীরভূমের। সেখানে একাধিক গ্রাম জলমগ্ন। জলের নীচে লাভপুর, মিরিটি এবং বলরামপুর। দুবরাজপুরে শাল নদীর জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে পানীয় জলের পাইপলাইন। ফলে সেখানে জলসঙ্কট তৈরি হয়েছে। অন্য দিকে, জলের তোড়ে রাস্তা ভেঙে গিয়ে ক্ষীরপাই-আরামবাগে যান চলাচল বন্ধ হয়ে দিয়েছে। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বেশ কয়েকটি গ্রামে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরে ঘাটাল-চন্দ্রকোণা রোডের উপর দিয়ে জল বইছে। পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া, পাশকুঁড়া, তমলুক, কাঁথি— এ সব অঞ্চলগুলো জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। রাজ্য প্রশাসনের তরফ থেকে জেলাগুলিকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে।

এ বছর জুনে তেমন বৃষ্টি মেলেনি বললেই চলে। ফলে বর্ষায় ঘাটতি শুরু হয়েছিল। জুলাইয়ে কয়েক দফা বৃষ্টি হলেও এখন ১৬% ঘাটতি রয়েছে বলেই মৌসম ভবন সূত্রের খবর। এই পরিস্থিতিতে এই দফার বৃষ্টি আমন চাষের সাহায্য করতে পারে বলে মনে করছেন আবহবিদেরা। গণেশবাবুও বলছেন, ‘‘আগামী ক’দিনের বৃষ্টিতে ঘাটতি বেশ কিছুটা কমবে।’’

সকাল ৯টা পর্যন্ত শহরের বৃষ্টিপাত মিলিমিটারে

চৌবাগা ৪৮.০১

ছবি: রণজিত্ নন্দী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন