প্রশাসক: দার্জিলিংয়ে নেতাজির জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার। ছবি: বিশ্বরূপ
সকাল থেকেই দার্জিলিংয়ের আকাশ ছিল মেঘলা। কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা না পেয়ে মুখ ভার ছিল পর্যটকদেরও। সকালে অবশ্য এক-দু’বার রোদের ঝিলিক দেখা গিয়েছিল। মেঘলা আকাশ আর উত্তুরে হাওয়ায় হাড়হিম করা পরিস্থিতি হলেও ম্যালে নেতাজি জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। অনেকেই জানান মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতেই এসেছেন।
ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর ১ টা ৩৮ মিনিট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ততক্ষণে ১২ মিনিট বক্তব্য রেখেছেন। এমন সময় শুরু হয় ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। নিজের বক্তব্য দ্রুত শেষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চের পাশে তখন নৃত্য পরিবেশনের জন্য অপেক্ষা করছিল পাহাড়ের একদল খুদে পড়ুয়া। বক্তব্য শেষ করেই মুখ্যমন্ত্রীর তাদের শুরু করতে বলেন।
মূল মঞ্চ বা সামনের অংশে কোথাও কোনও ছাউনি ছিল না। মঞ্চের তিনদিক ছিল খোলা। বৃষ্টি নামায় মঞ্চ থেকে নেমে রিচমন্ড হিলের দিকে পা বাড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। হঠাৎ খুদেদের নাচ দেখতে মঞ্চের পাশে দাঁড়িয়ে পড়েন তিনি। নিরাপত্তারক্ষীরা তড়িঘড়ি ছাতা জোগাড় করে মুখ্যমন্ত্রীর মাথায় ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি জানিয়ে দেন তাঁর ছাতার দরকার নেই। ছোটদের নাচ শেষ হতেই মঞ্চে উঠে তাদের কাছে টেনে নেন মমতা। তারপর গান জাতীয় সঙ্গীত। এরপর একে একে হাত ধরে ছোটদের মঞ্চ থেকে নামিয়ে দিয়ে অনুষ্ঠানস্থল ছাড়েন তিনি।
বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী তাদের নাচ দেখায় আপ্লুত স্কুল পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকরাও। নাচের দলে থাকা প্রথম শ্রেণির ছাত্রী শ্রদ্ধা লামা বলে, ‘‘ভেবেছিলাম নাচ হবে না। তবে সবাই থাকায় ভাল লাগছে।’’
তবে হঠাৎ বৃষ্টিতে মন ভেঙেছে অনেকেরই। অনেকেই জানান, আবহাওয়া বাধ সাধায় মুখ্যমন্ত্রীর দীর্ঘ বক্তৃতা শুনতে না পেয়ে তাঁরা বেশ কিছুটা হতাশ।