মোদী-রাজনাথের সঙ্গে কথা মমতার

মোর্চার সঙ্গে বসতে মমতাকে পরামর্শ রাজনাথের

ভারতের পূর্ব সীমান্তে বিদেশি শক্তি সক্রিয় হয়ে উঠেছে— এ নিয়ে সম্প্রতি সরব হন মমতা। নবান্নের মতে, গত কয়েক বছরে নেপালে চিনের তৎপরতা অনেক বেড়েছে। যার প্রভাব পড়ছে দার্জিলিঙেও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৭ ০৬:১০
Share:

দার্জিলিঙে অশান্তি শুরু হওয়ার পরে দু’জনের মধ্যে একাধিকবার টেলিফোনে কথা হয়েছে। আজ মুখোমুখি বৈঠক হল। আর সেখানে পাহাড় পরিস্থিতি নিয়ে ‘সবিস্তার’ রিপোর্ট দেওয়ার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহকে জানালেন, দার্জিলিং সমস্যার সঙ্গে গোটা দেশের নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িত। কারণ, এর এক দিকে রয়েছে সিকিম। ভুটান এবং নেপালের সঙ্গেও সীমান্ত রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের।

Advertisement

ভারতের পূর্ব সীমান্তে বিদেশি শক্তি সক্রিয় হয়ে উঠেছে— এ নিয়ে সম্প্রতি সরব হন মমতা। নবান্নের মতে, গত কয়েক বছরে নেপালে চিনের তৎপরতা অনেক বেড়েছে। যার প্রভাব পড়ছে দার্জিলিঙেও। এই আবহে আজকের বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। বৈঠক চলে প্রায় এক ঘণ্টা। বর্তমান স্বরাষ্ট্রসচিব রাজীব মেহর্ষি ও আগামী মাস থেকে যিনি দায়িত্ব নেবেন, সেই রাজীব গৌবাকে একসময়ে ডেকে নেন রাজনাথ।

দার্জিলিং সমস্যা শুরুর পরপরই ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য চাপ দেয় কেন্দ্র। তাতে আপত্তি ছিল রাজ্যের। আর, মোর্চা চাইছিল কেন্দ্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিমল গুরুঙ্গের বৈঠক করাতে সপ্তাহখানেক দিল্লিতে পড়ে ছিলেন রোশন গিরিরা। কিন্তু রাজ্যকে বাদ দিয়ে বৈঠকে রাজি হয়নি কেন্দ্র। এ দিন মমতাকে মোর্চার সঙ্গে বৈঠকে বসার পরামর্শ দেন রাজনাথ। রাজ্যও জানায়, মোর্চা হিংসা ছাড়লে তারা কথায় রাজি। সম্প্রতি রাজনাথের সঙ্গে দেখা করে পাহাড়ে কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর আর্জি জানিয়েছিল মোর্চা। আজ কার্যত সেই দাবিও খারিজ করে দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হংসরাজ আহির লোকসভায় জানান, ‘‘গোর্খাদের দাবি ন্যায্য কিনা, তা খতিয়ে দেখতে কমিটি গড়ার প্রস্তাব এই মুহূর্তে সরকারের কাছে নেই।’’

Advertisement

আরও পড়ুন:নিম্নচাপ, তাই ইডি-কে এড়ালেন মেয়র

রাজ্য গোয়েন্দাদের তথ্য অনুযায়ী, দার্জিলিঙে অশান্তির পিছনে বিদেশি শক্তির হাতও রয়েছে। রাজনাথকে মমতা জানান, এ দিনই মোর্চার এক সদস্য বিদেশি মুদ্রা নিয়ে ধরা পড়েছে মুর্শিদাবাদে। বৈঠকের পরে অবশ্য বিশেষ কিছু বলতে চাননি মমতা। শুধু বলেন, ‘‘রাজ্যের কাছে যা তথ্য ছিল, তা সবিস্তার জানানো হয়েছে।’’

কেন্দ্রের অনেকেই বলছেন, এ দিন মমতা যথেষ্ট নমনীয় মনোভাব দেখিয়েছেন। উল্টো দিকে, রাজনাথের বক্তব্যও ছিল ইতিবাচক। কেন্দ্র যে দু’পক্ষকে আলোচনার টেবিলে আনতে চাইছে, তা স্পষ্ট। শুধু মোর্চার একরোখা অবস্থানের জন্যই এখনও জট রয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, এ দিন পাহাড়ে অশান্তির দায় আংশিক হলেও মোর্চার ঘাড়ে চাপিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন