ঘাতক সেই গাড়িটি। নিজস্ব চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ নিয়ে রাজ্যজুড়ে প্রচার চলছে। ট্রাফিক আইন ভাঙলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সেই হুঁশিয়ারিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সোমবার ফের ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল কলকাতা।
পর পর তিনটি বাইকে ধাক্কা, তার পরেই সোজা ফুটপাথে উঠে গিয়ে তিন জনকে পিষে দিল বেপরোয়া গাড়ি। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৮ জন। তাঁদের উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার দুপুর ২টো নাগাদ ঘটনাটি ঘটে আলিপুরের কাছে জিরাট সেতুতে। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর দিক থেকে একটি গাড়ি প্রচণ্ড গতিতে আসছিল। এজেসি বসু রোড ও বেলডেভিয়ার রোডের মোড়ে সিগন্যাল ভেঙে পর পর তিনটি বাইকে সজোরে ধাক্কা মেরে সোজা ফুটপাথে উঠে যায় গাড়িটি। সেই সময় রাস্তা পার হওয়ার জন্য ফুটপাথে দাঁড়িয়েছিলেন বেশ কয়েক জন। প্রচণ্ড গতিতে আসা গাড়িটি পথচারীদের গিয়ে সজোরে ধাক্কা মারলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জনের। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় আরও এক জনের। মৃতেরা হলেন সুশান্ত মণ্ডল, হালিমা খাতুন এবং রাজীব রায়। আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও শোভন চট্টোপাধ্যায়।
আহত লালবাবু শেখ ও তাঁর ছেলে রিয়াজ। নিজস্ব চিত্র।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় থেকে ৩৮ জনের একটি দল চিড়িয়াখানায় বেড়াতে এসেছিল। ভিক্টোরিয়া যাবেন বলে সকলেই ওই ফুটপাথে দাঁড়িয়েছিলেন। এই ঘটনায় লালবাবু শেখ নামে ওই দলেরই এক জনের মাথা ফেটে গিয়েছে। লালবাবুর সঙ্গে তাঁর ছেলেও রিয়াজও ছিল। আহত হয়েছেন ওই দলেরই সেলিমা খাতুন ও আর্মিনা খাতুন। তাঁরা বলেন, “দেখলাম একটি গাড়ি এসে সামনের দু’টো বাইকে ধাক্কা মারে। বাইকটা ছিটকে আমাদের উপর এসে পড়ল। সঙ্গে গাড়িটাও হুড়মুড়িয়ে এসে ঢুকে পড়ল। চারদিকে সবাই ছিটকে পড়ল।”
আরও খবর...
সবুজের বাহারে এ বার সাজছে বিদ্যাসাগর সেতু