কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ আইনজীবীকে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করল সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম। এই পাঁচ আইনজীবী হলেন শম্পা সরকার, সব্যসাচী চৌধুরী, রবি কৃষাণ কপূর, অরিন্দম মুখোপাধ্যায় এবং শাক্য সেন।
কলকাতা হাইকোর্টের কলেজিয়াম মোট ছ’জন আইনজীবীর নাম বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করেছিল। যাতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালেরও সম্মতি ছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি জে চেলামেশ্বর ও বিচারপতি রঞ্জন গগৈর কলেজিয়াম এক জনের নাম খারিজ করে দিয়েছে। কারণ তাঁর আয় মাপকাঠির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
হাইকোর্টের বিচারপতি হওয়ার ক্ষেত্রে অন্তত ৪৫ বছর বয়সের মাপকাঠি রয়েছে। এক বছর আগে যখন হাইকোর্টের কলেজিয়াম সব্যসাচী ও শাক্যের নাম প্রস্তাব করে, তখনও তাঁদের বয়স ৪৫ হয়নি। তা সত্ত্বেও যোগ্যতার নিরিখে তাঁদের নাম সুপারিশ করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে সব্যসাচীর বয়স ৪৫ পেরিয়েছে। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি শ্যামলকুমার সেনের পুত্র শাক্যের বয়স এখনও ৪৫-এর কম। তা সত্ত্বেও যোগ্যতার নিরিখে তাঁকে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের জন্য সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম হাইকোর্টের কলেজিয়ামে সুপারিশে সিলমোহর বসিয়েছে। একই ভাবে কলকাতার নামজাদা আইনজীবী এস কে কপূরের পুত্র রবি কৃষাণের ক্ষেত্রেও একটি শর্ত শিথিল করা হয়েছে।
কলকাতা হাইকোর্টে ৭২টি বিচারপতির পদে এখন ৩৯টি শূন্যপদ রয়েছে। তা নিয়ে আইনজীবীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। বিচারপতিরাও উষ্মা প্রকাশ করেছেন। কলেজিয়ামের সুপারিশ মেনে আইন মন্ত্রক বিজ্ঞপ্তি জারি করলেই বিচারপতিদের নিয়োগ হবে।