West Bengal Panchayat Election 2023

অভিষেকের ‘নবজোয়ার’ কতটা প্রভাব বিস্তার করল ভোটে, যাত্রাপথ বিশ্লেষণে আনন্দবাজার অনলাইন

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৫১ দিনের ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচি নিয়ে তির্যক মন্তব্য শোনা গিয়েছিল বিরোধী শিবির থেকে। তাঁর যাত্রাপথে পঞ্চায়েত ভোটের ফল কিন্তু ‘অন্য বার্তা’ দিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৩ ১৩:৫২
Share:

‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ যাত্রায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

অনেকে তাঁর ৫১ দিনের ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ যাত্রাকে রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। আবার তির্যক মন্তব্যও শোনা গিয়েছিল বিরোধী শিবির থেকে। রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফল বলছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাড়ে ৪ হাজার কিলোমিটারের বেশি যাত্রাপথের অধিকাংশ এলাকাতেই ‘চমকপ্রদ জয়’ পেয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা।

Advertisement

পঞ্চায়েত ভোটের এই ফলাফল নিঃসন্দেহে দলের অন্দরে অভিষেকের অবস্থান আরও সজুত করবে। ‘নবজোয়ার যাত্রা’ যে পঞ্চায়েতের ফলাফলে ‘প্রভাব’ ফেলেছে, তা জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। যদিও বিরোধী শিবির তা মানতে রাজি নয়।

যে জেলা থেকে অভিষেকের যাত্রা শুরু হয়েছিল, সেই কোচবিহারের নাটাবাড়ির বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী বৃহস্পতিবার আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘কোচবিহার থেকেই শুরু হয়েছিল অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রা। সেই কোচবিহারে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারসভা করার পরেই ঘরে ঢুকে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবজোয়ার যাত্রার প্রভাব কতটা পড়েছিল সে দিনই মুখ্যমন্ত্রী টের পেয়ে গিয়েছিলেন। তাই মানুষের রায়ে ভরসা না রেখে ভোট লুট করে পঞ্চায়েত দখলের কৌশল নিয়েছিল শাসকদল।’’ সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীও এমন তত্ত্বের সঙ্গে একমত নন যে, অভিষেকের নবজোয়ার যাত্রা যে পথ ধরে গিয়েছে, সেখানে তৃণমূলের ভাল ফল হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘এই সব বহু জায়গায় তৃণমূল ভোটে হেরেছে। কিন্তু গণনাকেন্দ্রে জয়ের ‘সার্টিফিকেট’ (শংসাপত্র) জালিয়াতি করে পঞ্চায়েতের অনেক আসন দখল করেছে। নবজোয়ার শুরুর আগেই আমরা বলেছিলাম, ভাইপোর এই যাত্রা আসলে ভোট লুটের মহড়া। দেখা গেল, যেখানে ভোট লুট করতে পারেনি, সেখানে সার্টিফিকেট লুট করেছে।’’

Advertisement

কংগ্রেসের নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য যাত্রার ‘ফল’ নিয়ে কিছু বলতে চাননি। কারণ, তাঁর বক্তব্য, ‘‘এ বারের পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাস এবং হিংসা যে পর্যায়ে গিয়েছিল, তাতে এই ফলাফলের বিশ্লেষণ করা সম্ভব নয়। যেখানে শাসকদল মাত্রাছাড়া সন্ত্রাস করতে পেরেছে, সেখানে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। যেখানে বিরোধীদের প্রতিরোধ কিছুটা সফল হয়েছে, সেখানে ফল অন্য রকম হয়েছে। কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচির ভিত্তিতে এই ভোটের বিশ্লেষণ করা সম্ভব নয়।’’

প্রত্যাশিত ভাবেই তৃণমূল ‘উচ্ছ্বসিত’ অভিষেকের ‘নবজোয়ার’ নিয়ে। দলের বর্ষীয়ান বিধায়ক তথা মুখপাত্র তাপস রায়ের কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নানা উন্নয়নমূলক কর্মসূচির কারণে গ্রামাঞ্চলে তৃণমূলের সমর্থন বেড়েছে। অভিষেকের মস্তিষ্কপ্রসূত সময়োপযোগী ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচি পঞ্চায়েত ভোটের আগে আমাদের কর্মী-সমর্থকদের অনেকটাই উজ্জীবিত করেছে। আগামী দিনেও ওই কর্মসূচির প্রতিফলন আমরা দেখতে পাব।’’

তবে ‘নবজোয়ার’-এর ‘সাফল্য’ কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে। সেখানে জেলা পরিষদ এবং অধিকাংশ পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূল দখল করলেও অভিষেকের জনসংযোগ পথের কাঁথি-১, শহিদ মাতঙ্গিনী, খেজুরি-২ এবং নন্দীগ্রাম-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে জয় পেয়েছে বিজেপি। এগরা-২ ত্রিশঙ্কু হয়েছে। তবে তমলুক-১, নন্দকুমার, মহিষাদল, চণ্ডীপুরের মতো যাত্রপথের ব্লকগুলির ত্রিস্তরের অধিকাংশ আসনে জিতেছেন তৃণমূলের প্রার্থীরা।

ভোটের ফলাফল বলছে, সবগুলি জেলা ছুঁয়ে যাওয়া অভিষেকের যাত্রাপথে জেলা পরিষদ স্তরে প্রায় নিরঙ্কুশ ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল। বিরোধীরা কোনও জেলা পরিষদেই গরিষ্ঠতা পাওয়া দূর অস্ত্, আসনসংখ্যার নিরিখে তৃণমূলের ধারেকাছেও যেতে পারেনি। ব্লক স্তরে অর্থাৎ পঞ্চায়েত সমিতিতেও তৃণমূলের জয় প্রায় একতরফা। ঘটনাচক্রে মালদহ, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুরের মতো জেলার এমন কিছু অংশে বিরোধীদের ফল ভাল হয়েছে, যেখানে অভিষেকের ‘নবজোয়ার’ যায়নি। যদিও বিরোধীরা বলছেন, ফল আশানুরূপ না-হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই অভিষেক ওই এলাকাগুলিতে যাননি।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।

গত ২৫ এপ্রিল কোচবিহারের দিনহাটা থেকে অভিষেকের যাত্রা শুরু হয়েছিল। শেষ হয়েছে ১৬ জুন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ছিলেন কাকদ্বীপের সেই সমাপ্তি কর্মসূচিতে। দীর্ঘ যাত্রাপথে প্রতিটি জেলারই একাধিক ব্লক ছুঁয়ে গিয়েছেন অভিষেক। করেছেন ১৩৫টি জনসভা, ৬০টি ‘বিশেষ কর্মসূচি’, ১২৫টি রোড শো এবং ৩৩টি রাতের অধিবেশন।

গণনার ফলাফল বলছে, অভিষেকের যাত্রার সূচনাস্থল দিনহাটায় পঞ্চায়েতের তিন স্তরেই বিপুল জয় পেয়েছে তৃণমূল। পাশাপাশি, অভিষেকের যাত্রাপথের মাথাভাঙা, তুফানগঞ্জেও এসেছে বড় জয়। জেলার সবক’টি পঞ্চায়েত সমিতিতেই জয় পেয়েছে তৃণমূল। পাশের জেলা আলিপুরদুয়ারেও সব পঞ্চায়েত সমিতিতে জিতেছেন দলের প্রার্থীরা। জলপাইগুড়ির মাল এবং ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে গিয়েছিল ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ যাত্রা। এর মধ্যে ডাবগ্রাম-২ গ্রাম পঞ্চায়েতটি বিরোধীদের দখলে গিয়েছে। তবে অন্যত্র জিতেছেন জোড়াফুলের প্রার্থীরা।

অভিষেকের যাত্রা উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘি, ইটাহার হয়ে গিয়েছিল। ছুঁয়েছিল দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরও। দুই জেলাতেই এ বার বিরোধীশূন্য জেলা পরিষদের পাশাপাশি সবগুলি পঞ্চায়েত সমিতি দখল করছে তৃণমূল। মালদহে তাঁর যাত্রাপথে বিজেপির ‘শক্ত ঘাঁটি’ বামনগোলা পঞ্চায়েত সমিতি ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। জিতেছে চাঁচল, গাজোল, মনিকচক ১ ব্লকেও। তবে ‘নবজোয়ার’-ছোঁয়া হবিববুর ব্লক এ বারও গিয়েছে বিজেপির দখলে। যদিও সেখানকার একটি জেলা পরিষদ আসন বিজেপির থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। কংগ্রেসের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পরে কালিয়াচক-২, কালিয়াচক-৩, হরিশ্চন্দ্রপুর, পুরাতন মালদহের মতো পঞ্চায়েত সমিতি ত্রিশঙ্কু হয়ে গেলেও ইংরেজবাজার সদর ব্লক এ বার তৃণমূলের দখলে। এই ব্লকেরই সুস্তানি মোড়ে ‘নবজোয়ার যাত্রা’য় মমতার সঙ্গে যৌথ সভা করেছিলেন অভিষেক।

মুর্শিদাবাদে অভিষেকের যাত্রাপথের অংশ লালগোলা, ভগবানগোলা, রানিনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে। ত্রিশঙ্কু হয়েছে বহরমপুর, জলঙ্গি। কিন্তু ফরাক্কা, সাগরদিঘি, রানিনগর-১, নওদা, বড়ঞার মতো ব্লকে জিতেছে তৃণমূল। নদিয়ার কালীগঞ্জ, পলাশিপাড়া, চাকদহ, নবদ্বীপের মতো ‘নবজোয়ার-পথে’ জয়ের মুখ দেখেছে তৃণমূল। তবে শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতি বিজেপির দখলে গিয়েছে। তেহট্ট-১, কৃষ্ণনগর-১ ত্রিশঙ্কু হয়েছে।

উত্তর ২৪ পরগনায় অভিষেকের যাত্রা শুরু হয়েছিল নৈহাটির কাপা অঞ্চল থেকে। একে একে বনগাঁ-দক্ষিণ, ঠাকুরনগর, মছলন্দপুর, হাবড়া, দেগঙ্গার মতো একাধিক এলাকায় গিয়েছিলেন তিনি। প্রায় সর্বত্রই তৃণমূল ভাল ফল করেছে। বাগদা এবং স্বরূপনগর এলাকায় যায়নি ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’। ঘটনাচক্রে, ওই এলাকাগুলির গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতিতে তুলনামূলক ভাল ফল হয়েছে বিরোধীদের। একই ভাবে পাশের জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়-২ ব্লক ছিল না অভিষেকের যাত্রাপথে। সেখানেই এ বার আইএসএফ কড়া টক্কর দিয়েছে তৃণমূলকে। কিন্তু যে এলাকাগুলি তিনি ছুঁয়েছেন সেই ভাঙড়-১, মিনাখাঁ, হাড়োয়া, সোনারপুর, বারুইপুর, জয়নগর, মথুরাপুর, মগরাহাট, কুলপি, ফলতা, ডায়মন্ড হারবার, কাকদ্বীপে একতরফা জয় তৃণমূলের।

পঞ্চায়েত ভোটের প্রতিটি স্তরেই বিপুল জয় পেয়েছে তৃণমূল। ছবি— পিটিআই।

হুগলির খানাকুল-২ ব্লকে যায়নি ‘নবজোয়ার’। ওই পঞ্চায়েত সমিতি এ বার বিজেপি দখল করেছে। অন্য দিকে, জেলার অন্য ব্লকগুলিতে জয়ী তৃণমূল। অভিষেকের যাত্রাপথের খানাকুল-১, গোঘাট, আরামবাগ, বলাগড়। তারকেশ্বর, পুরশুড়া, সিঙ্গুরে বিপুল জয় পেয়েছে তৃণমূল। তবে পান্ডুয়ার তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত গিয়েছে বিরোধীদের দখলে। নবজোয়ারের পথের ঝাড়গ্রামের সদর ব্লক, বেলপাহাড়ি, জামবনি, লোধাশুলি এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর গ্রামীণ, শালবনি, চন্দ্রকোণা, ঘাটাল, দাসপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে শুধুই ‘জোড়াফুল’।

গত ১৯ মে ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে বাঁকুড়ার সোনামুখীতে সভা করার পরেই সিবিআইয়ের নোটিস পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজিরা দিতে কলকাতায় ফিরেছিলেন অভিষেক। পঞ্চায়েতের ফল বলছে, সেখানকার পুরসভা লাগোয়া পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূল জিতলেও ব্লকের চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতে গরিষ্ঠতা পেয়েছে বিজেপি। অভিষেকের অনুপস্থিতিতে পাত্রসায়রের সভায় ‘ভার্চুয়াল বক্তৃতা’ করেছিলেন মমতা। সেখানেও তৃণমূলের জয়জয়কার। বিধানসভা ভোটে বাঁকুড়ার বেশিরভাগ আসনে জেতা বিজেপি এ বার সেখানে একটি পঞ্চায়েত সমিতিও দখল করতে পারেনি।

পুরুলিয়ায় ‘কংগ্রেস ঘাঁটি’ বলে পরিচিত ঝালদা ১ এবং ২ নম্বর ব্লক এ বার গিয়েছে তৃণমূলের দখলে। অভিষেকের যাত্রাপথের হুড়া, পুঞ্চা, বান্দোয়ানেও অধিকাংশ আসনে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। ২০১৮ সালের মতোই পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদ এ বার বিরোধীশূন্য। দখলে এসেছে সব পঞ্চায়েত সমিতিও। ‘নবজোয়ার’ যাত্রাপথে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর, রায়না, বর্ধমান-১, গলসি-২, কালনায় বিপুল জয় পেয়েছে তৃণমূল। অভিষেকের ‘পথ’ ধরেই দলের প্রার্থীরা জিতেছেন পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বর, রানিগঞ্জ, বরাবনী, দুর্গাপুর ১ এবং ২ ব্লকেও।

গত বারের মতো বিরোধীশূন্য না হলেও বীরভূম জেলা পরিষদে ৫২টির মধ্যে ৫১টিতে জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। কংগ্রেস জিতেছে একটিতে। নলহাটি-২ ব্লকের যে লোহাগড় গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে অভিষেক ‘নবজোয়ার’ যাত্রার সূচনা করেছিলেন, সেটিই গিয়েছে কংগ্রেসের দখলে। তবে যাত্রাপথের অন্যত্র, যেমন মহম্মদবাজার, সিউড়ি, নানুর, দুবরাজপুরের অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েত গিয়েছে তৃণমূলের খাতায়। জেলার সবগুলি পঞ্চায়েত সমিতিতেও তারাই জয়ী।

পঞ্চায়েত ভোটের ফল প্রকাশের পরে অভিষেকের ওই কর্মসূচিকে স্বাভাবিক ভাবেই ‘বড় সাফল্য’ বলে মনে করছে তৃণমূল। রাজ্য সরকারের ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’, ‘কন্যাশ্রী’, ‘স্বাস্থ্যসাথী’র মতো সামাজিক উন্নয়ন কর্মসূচির পাশাপাশি অভিষেকের ৫১ দিনের ‘জনসংযোগ যাত্রা’ও দলের ভোটব্যাঙ্ককে পুষ্ট করেছে বলে অভিমত নেতৃত্বের বড় অংশের। সেই সঙ্গে দলের বক্তব্য, পঞ্চায়েত ভোটে মিলেছে শুধু নবজোয়ার যাত্রার প্রাথমিক ফল। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। সেখানে বোঝা যাবে যাত্রার দীর্ঘমেয়াদি ফল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন