Community Kitchen

সাঁকো তৈরি থেকে রান্নাঘর, পাশে ওঁরা

সংগঠনের তরফ থেকে প্রথমে ওই স্বেচ্ছাসেবকেরা গিয়েছিলেন ক্যানিং‌-২ ব্লকে। সেখানকার আওতা গ্রামে ঝড়ে ভেঙে যাওয়া বাঁশের সাঁকো পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২০ ০৬:০৭
Share:

চলছে চাষের ক্ষতির সমীক্ষা(বাঁ দিকে)। ক্যানিং ও ভাঙরে কমিউনিটি কিচেন(ডান দিকে)।—নিজসেব চিত্র।

ত্রাণ ও সহায়তার জন্য দাবি জানিয়ে শুধু সরকারের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকা নয়। ঘূর্ণিঝড় ‘আমপান’-এ বিধ্বস্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং ও ভাঙড়ের নানা এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে ত্রাণ ও পুনর্গঠনের কাজে নেমে পড়েছে গবেষক, পড়ুয়া ও সমাজকর্মীদের সংগঠন ‘ইয়ং বেঙ্গল’।

Advertisement

সংগঠনের তরফ থেকে প্রথমে ওই স্বেচ্ছাসেবকেরা গিয়েছিলেন ক্যানিং‌-২ ব্লকে। সেখানকার আওতা গ্রামে ঝড়ে ভেঙে যাওয়া বাঁশের সাঁকো পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করেন তাঁরা। তাঁদের দেখে এগিয়ে আসেন গ্রামবাসীরাও। মিলিত প্রচেষ্টায় তৈরি হয়ে গিয়েছে নতুন সাঁকো। তার পরে ভাঙড়ের পদ্মপুকুর গ্রামে গিয়ে ‘ইয়ং বেঙ্গল’ ফের চালু করেছে ঝড়ের জেরে বন্ধ হয়ে যাওয়া কমিউনিটি কিচেন। সেখানে রবিবার থেকে ১৮০ জন গ্রামবাসীকে রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে। উচ্ছে, টমেটো, লাউ, তিল, কলা-সহ সব্জি চাষের যে ক্ষতি হয়েছে, তার সমীক্ষাও করছেন সংগঠনের লোকজন। ঘরবাড়ির ক্ষতির খতিয়ানও নেওয়া হচ্ছে। পরে দাবি জানানো হবে সরকারের কাছে।

ভাঙড়ের রাজাপুর ও মরিচা গ্রামে আরও দু’টি কমিউনিটি কিচেন চলছে স্থানীয় মানুষের উদ্যোগে। সেই উদ্যোগের সঙ্গে নিজেদের জুড়ে নিয়েছেন ‘ইয়ং বেঙ্গল’-এর তরুণ-তরুণীরা। মৌসুনী দ্বীপের বালিয়ারা গ্রামের অনেক মানুষ ঝড়ে গৃহহীন হয়ে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে গিয়ে ২০০টি পরিবারের হাতে ডাল, আলু, চিনি, চিঁড়ে, ছাতু, সর্ষের তেলের মতো সামগ্রী তুলে দিয়েছেন সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকেরা।

Advertisement

জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) প্রতিবাদে জনমত গড়ে তুলতে এই সব এলাকায় এসে শাসক দল ও পুলিশের বাধার মুখে আগে পড়েছেন প্রসেনজিৎ বসু, দেবর্ষি চক্রবর্তীরা। কিন্তু এ বারের উদ্যোগ অন্য রকম। ‘ইয়ং বেঙ্গল’-এর তরফে প্রসেনজিতের কথায়, ‘‘আগামী দিনে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত অন্যান্য অঞ্চলেও দল ভাগ করে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে পৌঁছব আমরা। কমিউনিটি কিচেন চালানো হবে, ক্ষয়-ক্ষতির সমীক্ষা হবে। বিপন্ন মানুষের স্বার্থে এই উদ্যোগের পাশে যাঁরা দাঁড়াতে চান, তাঁদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন