Tangra Unnatural Deaths

প্রসূন, প্রতীপকেও ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে হাসপাতাল থেকে, হেফাজতে নিয়ে দে ভাইদের জিজ্ঞাসাবাদ কবে

শনিবার বাইপাসের ধারের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে প্রতীপের বাবা প্রণয় দে-কে। তাঁকে এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সোমবার ছাড়া হচ্ছে বাকি দু’জনকেও।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:৫৫
Share:

ট্যাংরার দে পরিবারের দুই ভাইকেই পূর্ণাঙ্গ জিজ্ঞাসাবাদের ভাবনা লালবাজারের। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

ট্যাংরার দে পরিবারের বাকি দুই সদস্যকেও বাইপাসের ধারের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। সোমবারই প্রসূন দে-কে ছেড়ে দেওয়া হবে, জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁকে এবং প্রতীপ দে-কে নিয়ে যাওয়া হতে পারে অন্যত্র। শনিবার ওই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে প্রতীপের বাবা প্রণয় দে-কে। তাঁকে এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। দে পরিবারের এই দুই ভাইকেই হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ। তাঁদের শারীরিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে হেফাজতে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

Advertisement

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার প্রসূনের বুকের সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। বক্ষ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী তাঁকে সোমবার ছেড়ে দেওয়া হবে।

গত বুধবার ভোরে বাইপাসে অভিষিক্তা মোড়ের কাছে মেট্রোর পিলারে ধাক্কা মারে প্রণয়দের গাড়ি। তাতে তিন জনই গুরুতর জখম হন। তাঁদের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পারে, ট্যাংরায় তাঁদের বাড়িতে আরও তিন জনের দেহ পড়ে আছে। দুই বধূ রোমি দে, সুদেষ্ণা দে এবং প্রসূনের কন্যা প্রিয়ম্বদার আগেই মৃত্যু হয়েছিল। আহতদের দাবি, তাঁরাও আত্মহত্যার উদ্দেশ্যেই পিলারে গাড়ি নিয়ে ধাক্কা মারেন। পরে জানা যায়, ট্যাংরায় তিন জনকেই খুন করা হয়েছে। এই তিনটি খুনের বিষয়ে দে ভাইদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে মরিয়া পুলিশ। এখনও তাঁদের পূর্ণাঙ্গ জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ মেলেনি।

Advertisement

বাইপাসের ধারের হাসপাতালে প্রথমে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা চলছিল তিন জনের। পরে চিকিৎসকেরা তাঁদের অন্যত্র সরানোর সিদ্ধান্ত নেন। সূত্রের খবর, সোমবার প্রসূন এবং প্রতীপকে ছাড়া হলে তাঁদেরও অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাবে পুলিশ। সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

যত দিন যাচ্ছে, ট্যাংরার তিন মৃত্যু নিয়ে রহস্য জটিল হচ্ছে। অনেক প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা। ওই পরিবারের জীবিত সদস্যদের এখনও পূর্ণাঙ্গ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি বলেই জট খুলছে না। বাইপাসের দুর্ঘটনার পরে প্রসূন দাবি করেছিলেন, আর্থিক সমস্যার কারণে একসঙ্গে তাঁরা ছ’জন আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন। পায়েসে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু দুই বধূর শিরা কাটা হল কেন, তা তিনি খোলসা করেননি। তদন্তকারীদের অনুমান, ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পরের দিন দুই ভাই এবং কিশোর জেগে ওঠেন। কিশোরীর মৃত্যু হয়েছিল খাদ্যে বিষক্রিয়ার জেরেই। পরে ঘুমন্ত অবস্থায় হাতের শিরা এবং গলার নলি কেটে দুই বধূর মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement