রাজ্যে তাদের জনসমর্থন বাড়ছে হু হু করে। কিন্তু তা ধরে রাখার নেতা নেই দলে। নেতার খরা কাটাতে সাংগঠনিক কাঠামো বদলাল রাজ্য বিজেপি। অমিত শাহের পরিকল্পনা অনুসারেই।
বিজেপি পাঁচটি সাংগঠনিক ‘রাজ্য’ তৈরি করেছে। যে ভাবে এ দিন নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষিত হয়েছে, সে ভাবেই আরও পাঁচটি জোনাল কমিটি তৈরি হবে, যাদের রাজ্যেরই মর্যাদা দেওয়া হবে। পাঁচটি জোন হল- উত্তরবঙ্গ, নবদ্বীপ ক্ষেত্র, কলকাতা ক্ষেত্র, রাঢ় বঙ্গ এবং হাওড়া-হুগলি-মেদিনীপুর। প্রতিটি জোনে ৮-৯টি লোকসভা কেন্দ্রের ভার থাকবে। উত্তরবঙ্গ, নবদ্বীপ, কলকাতা, রাঢ় বঙ্গ ও হাওড়া-হুগলি-মেদিনীপুরের আহ্বায়ক হয়েছেন যথাক্রমে রথীন বসু, দেবাশিস মিত্র, গৌতম চৌধুরী, নির্মল কর্মকার এবং তুষার মুখোপাধ্যায়। দলের ব্যাখ্যা, নয়া সাংগঠনিক কাঠামোয় সর্বস্তরেই পদের সংখ্যা বাড়বে। নিচু স্তর থেকে কর্মী তুলে এনে নতুন পদগুলিতে বসানো যাবে। জনসমর্থনের ঢেউ এ ভাবেই নতুন নেতা দিয়ে ধরে রাখা সম্ভব হবে।
এ দিন মহিলা মোর্চার সভানেত্রী পদ থেকে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে সরিয়ে আনা হয়েছে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘রূপা গঙ্গোপাধ্যায় সাংসদ হওয়ায় তাঁকে দিল্লিতে বেশি সময় দিতে হচ্ছে। সেই কারণেই তাঁর দায়িত্ব বদল করা হল।’’ শিশু পাচার কাণ্ডে যখন রূপাকে তলব করেছে সিআইডি, তখন তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। নয়া রাজ্য কমিটিতে ঠাঁই হয়েছে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহের বেশ কিছু অনুগামীর। সূত্রের খবর, এর মাধ্যমে দিলীপবাবুকে বোঝানো হয়েছে, দলে গোষ্ঠীবাজির স্থান নেই। নতুন সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সায়ন্তন বসু, সঞ্জয় সিংহ ও রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। যুব মোর্চার সভাপতি দেবজিৎ সরকার। তবে রাজ্য পদাধিকারীদের তালিকায় নেই শমীক ভট্টাচার্য, বাবুল সুপ্রিয়।