স্কুলের শিক্ষকদের অবসরের বয়স আবার ৬৫-তে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে রাজ্য সরকার। বিধানসভার চলতি বাজেট অধিবেশনেই এই মর্মে বিল আনতে চলেছে শিক্ষা দফতর।
শিক্ষকদের অবসরের বয়স এক সময় ৬৫ বছরই ছিল এ রাজ্যে। বাম জমানায় বিধি পাল্টে অবসরের বয়স ৬০ করে দেওয়া হয়েছিল। দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় ফিরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আবার পুরনো প্রথায় ফিরে যেতে চাইছে। শিক্ষা দফতর সূত্রের বক্তব্য, উচ্চ শিক্ষা সংসদ, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের আওতায় থাকা সব স্কুলের শিক্ষকদের জন্য অবসরের বর্ধিত বয়স কার্যকর হবে।
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে এখনও জটিলতা তুঙ্গে। টেটের ফল প্রকাশিত হয়নি। আদালতে মামলা চলছে। রাজ্য সরকারের তরফে আদালতে আর্জি জানানো হয়েছে, যত শীঘ্র সম্ভব টেটের ফল প্রকাশের অনুমতি দেওয়া হোক। এই অবস্থায় জটিলতা এড়িয়ে স্কুলে স্কুলে পঠন-পাঠন অব্যাহত রাখার স্বার্থেই বর্তমান শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে বলে শিক্ষা দফতরের একটি সূত্রের ব্যাখ্যা। যদিও শিক্ষক সংগঠনগুলির অনেকেরই প্রশ্ন, অবসরের সীমা বাড়িয়ে দিলে নতুন নিয়োগের সুযোগ কমে গিয়ে জটিলতা তো আরও বাড়বে! শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের সুযোগও ব্যাহত হবে। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য যুক্তি দিচ্ছেন, বিচার-বিবেচনা করেই যা বিল আনার, আনা হবে। তবে বিলটি কবে পেশ হবে, তার দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
সরকারের আরও কিছু দফতরের মতো শিক্ষা ক্ষেত্রেও পুনর্নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নতুন নিয়োগের অপেক্ষায় এত লোক বসে থাকা সত্ত্বেও কেন পুনর্নিয়োগ হবে, প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন সংগঠন। শিক্ষামন্ত্রী পার্থবাবু অবশ্য ব্যাখ্যা দিয়েছেন, যেখানে জরুরি হয়ে পড়ছে, একমাত্র সেখানেই পুনর্নিয়োগ করা হচ্ছে কাজ চালানোর জন্য। নতুন শিক্ষক নিয়োগের কাজে তাঁরা শীঘ্রই হাত দেবেন। সেই কাজ শুরুর আগেই শিক্ষকদের অবসরের বয়স বাড়ানো হচ্ছে বলে সরকারি সূত্রের বক্তব্য।