অতিথি: বিশ্বভারতীর আমন্ত্রণে সস্ত্রীক শান্তিনিকেতনে ঘুরে গেলেন গ্র্যামি পুরস্কারপ্রাপ্ত ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী রিকি কেজ। নিজস্ব চিত্র
শান্তির সুরে মিলে গেল যেন রবিঠাকুরের গান আর ‘উইন্ডস অব সামসারা’-র সুর।
সুদূর লস অ্যাঞ্জেলেসের স্টেপেল্স সেন্টার। বছর দু’য়েক আগে সেখানেই ৫৭তম গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডের অনুষ্ঠানটি হয়েছিল। প্রাপক ভারতীয় বংশোদ্ভূত রিকি কেজ! বিশ্বভারতীর আহ্বানে শনিবার শান্তিনিকেতন ঘুরে গেলেন রিকি। বিশ্বভারতী তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার কথা ঠিক করে। সন্ধ্যায় সঙ্গীতভবনের শিক্ষক শিক্ষিকা এবং ছাত্রছাত্রীদের উদ্যোগে আয়োজিত রবীন্দ্রনাথের গান, সেতার, এসরাজ অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। তার আগে দিনভর ঘুরে দেখেন শান্তিনিকেতন।
রিকিকে যখন সংবর্ধনা দিচ্ছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য স্বপন দত্ত, তখন লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে দর্শকাসনে তাঁর গানের কথাই ঘুরছে। কেউ বলছেন, শিল্পীর প্রাপ্ত ‘নিউ এজ অ্যালবাম’-এর ট্রফির কথা। কেউ গুগুল করে সতীর্থকে জানাচ্ছেন শিল্পীর ‘উইন্ডস অব সামসারা’ অ্যালবামের কথা। দক্ষিণ আফ্রিকার শিল্পী উটার কেলারম্যানের সঙ্গে যৌথ ভাবে এই অ্যালবামের জন্যই রিকি গ্রামি পেয়েছিলেন। পেশায় চিকিৎসক রিকির সঙ্গীতের কোনও যথাযথ প্রশিক্ষণ ছিল না প্রথম দিকে। আট বছর বয়সে বেঙ্গালুরু চলে আসে রিকি। তার পর সেখানকার একটি স্কুলেই তাঁর পড়াশোনা। স্কুলের গণ্ডি টপকে বেঙ্গালুরুর কলেজ থেকেই দাঁতের ডাক্তারি পাশ করেন তিনি। এরপরে বদলে যায় তাঁর পেশা।
অশান্ত সময়ের মধ্যে রিকির ‘উইন্ডস অব সামসারা’ অ্যালবামটি নিয়ে আসে শান্তির বার্তা। রবীন্দ্রনাথও তো সেই কবেই ভুবনজুড়ে শান্তির কথাই বলেছিলেন! রিকি বলেন, ‘‘ওই কারণেই তো শান্তিনিকেতনে আসা। রবীন্দ্রনাথ বিশ্বশান্তির কথা বলেছেন, পরিবেশ-প্রকৃতি তাঁর শিল্পের মধ্যে রয়েছে। তাঁর কাজ আমাকে প্রভাবিত করেছে।’’ স্বপনবাবু বলেন, ‘‘মাস দু’য়েক আগে পুনেতে একটি সম্মেলনে রিকির সঙ্গে আলাপ হয়েছিল। আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। উনি এসেছেন। বিশ্বভারতীর এবং সঙ্গীতভবনের কাজকর্মের সঙ্গে তাঁকে যুক্ত করার চিন্তা ভাবনা রয়েছে।’’