মুখ্যমন্ত্রীর সফরের মুখে উদ্ধার রাইফেল

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাহাড় সফরের ২৪ ঘন্টা আগে জঙ্গল ও চা বাগানের মাটি খুঁড়ে তিনটি দেশি রাইফেল, গুলি উদ্ধার করল দার্জিলিং পুলিশ। রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ দার্জিলিং সদর থানায় পুলিশ লিম্বুবস্তি এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রগুলো উদ্ধার করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৮ ০৩:০১
Share:

উদ্ধার: দার্জিলিঙে মিলেছে আগ্নেয়াস্ত্র। নিজস্ব চিত্র

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাহাড় সফরের ২৪ ঘন্টা আগে জঙ্গল ও চা বাগানের মাটি খুঁড়ে তিনটি দেশি রাইফেল, গুলি উদ্ধার করল দার্জিলিং পুলিশ। রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ দার্জিলিং সদর থানায় পুলিশ লিম্বুবস্তি এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রগুলো উদ্ধার করে।

Advertisement

গত সপ্তাহে বিমল গুরুঙ্গের গাড়ির চালক তথা সর্বক্ষণের সঙ্গী সিদ্ধান্ত বিশ্বকর্মাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। সিদ্ধান্তকে হেফাজতে নিয়ে জেরার পর দুর্গম পথে চালানোর জন্য গুরুঙ্গের লক্ষাধিক টাকার গাড়িটি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এ বার ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র, ১৫ রাউন্ড কার্তুজ, ২২টি ধারাল অস্ত্র উদ্ধার হল। একটি কাঠের বাড়ির পিছনের ঝোপে ব্যাগের ভিতর লুকিয়ে রাখা ৫ বান্ডিল জলপাই রঙের জামা তৈরির কাপড়ও মিলেছে।

দার্জিলিঙের পুলিশ সুপার (অপারেশনস) অমরনাথ কে বলেছেন, ‘‘কী উদ্দেশ্যে ওই একাধিক দেশি রাইফেল এবং গুলি লুকিয়ে রাখা ছিল, তা দেখা হচ্ছে। কয়েকজনের নাম মিলেছে। আমরা খোঁজখবর করছি।’’

Advertisement

আজ, সোমবার কলকাতা থেকে বিমানে এসে মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড়ে যাওয়ার কথা। পুলিশ সূত্রের খবর, এদিন সকাল থেকে ফের সিদ্ধান্তকে জেরা শুরু করেন সদর থানার আইসি সৌম্যজিৎ রায়-সহ অফিসারেরা।

লিম্বুবস্তির চা বাগান, জঙ্গল ঘেরা একটি এলাকার খোঁজ মেলে। বেলা বাড়তে পাহাড়ে বৃষ্টি শুরু হলেও তল্লাশিতে নেমে পড়েন অফিসারেরা। প্রথমে মাটি খুঁড়ে ২টি দেশি রাইফেল মেলে। বস্তার মুড়ে সেগুলি লুকিয়ে রাখা ছিল। এর কিছুটা দূরে একটি বাড়ির পিছনেও নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে তল্লাশি করে গুলি ও আরেকটি দেশি বন্দুক উদ্ধার হয়। সেখানেই ব্যাগে করে জামা তৈরির কাপড় লুকিয়ে রাখা ছিল।

তদন্তকারী অফিসারেরা জানিয়েছেন, গত জুন মাসে বনধ চলাকালীন পাহাড়ে ধরপাকড় চলছিল। সেই সময় আন্দোলনকারীদের একাংশের হাতে এই দেশি বন্দুক এসে পৌঁছয়। বন্দুকগুলোর নল লম্বা।

স্থানীয় ভাষায় এই বন্দুকগুলিকে ‘খাদুস’ বলা হয়। চা বাগান বা জঙ্গলের ঝোপ থেকে লুকিয়ে গুলি চালানোর জন্য পাহাড়ে এই ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার হয়। ওই জংলি পোশাক সেনা, আধা সেনার মতো পোশাক তৈরির জন্য মজুত হয়েছিল। আবার ২২টি ধারাল অস্ত্রও বস্তার ভিতরে ভরে রাখা ছিল। যে বাড়িটির পিছন থেকে জিনিসপত্রগুলি উদ্ধার হয়েছে, তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ দিন বিমল গুরুঙ্গ একটি প্রেস বিবৃতি জারি করে পুলিশ পাহাড়ে জুলুমবাজি করছে বলে অভিযোগ করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন