রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা রীনা মিত্র  

সংশ্লিষ্ট নিয়োগ কমিটি সব চেয়ে সিনিয়র আইপিএস অফিসার হিসেবে ঋষিকুমার শুক্লকে অধিকর্তা নিযুক্ত করে। নিয়োগের সেই বৈঠক ডাকা হয়েছিল ১ ফ্রেব্রুয়ারি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:৩১
Share:

মধ্যপ্রদেশ ক্যাডারের আইপিএস অফিসার রীনা মিত্রকে রাজ্যের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী সপ্তাহে তিনি কার্যভার গ্রহণ করতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। রীনাদেবীর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমি মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ। বাংলার জন্য কাজ করব। আমি খুশি।’’

Advertisement

সম্প্রতি সিবিআইয়ের অধিকর্তা নিয়োগের প্রক্রিয়া চলাকালীন রীনা মিত্রের নাম চর্চায় এসেছিল। সংশ্লিষ্ট নিয়োগ কমিটি সব চেয়ে সিনিয়র আইপিএস অফিসার হিসেবে ঋষিকুমার শুক্লকে অধিকর্তা নিযুক্ত করে। নিয়োগের সেই বৈঠক ডাকা হয়েছিল ১ ফ্রেব্রুয়ারি। আর ৩১ জানুয়ারি অবসর নিয়েছিলেন রীনাদেবী। আমলা মহলে প্রশ্ন ওঠে, নিয়োগ কমিটির বৈঠক এক দিন আগে হলে সব চেয়ে সিনিয়র হিসেবে রীনাদেবীকেই (শুক্লের ব্যাচমেট) সিবিআই অধিকর্তার পদে নিয়োগ করতে হত। আনন্দবাজারকে পাঠানো বিশেষ নিবন্ধের একাংশে রীনাদেবী নিজেও লিখেছিলেন, তাঁকে

অধিকর্তার দৌড় থেকে বার করে দিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। এ বার তাঁকেই রাজ্যের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংক্রান্ত উপদেষ্টা করে নিয়ে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রীনাদেবীর দিল্লির যোগাযোগও বেশ ভাল।

Advertisement

আরও পড়ুন: ৩৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পরেও মিলল না ‘মুক্তি’, রাজীবকে আজ ফের সিবিআইয়ের তলব

রীনাদেবী পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মহিলা আইপিএস অফিসার। ১৯৮৩ ব্যাচের এই অফিসার মধ্যপ্রদেশ ক্যাডারে কাজ করেছেন। পাশাপাশি রেলওয়ে ভিজিল্যান্স, সিবিআই, বিএসএফ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকেও তাঁর কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগের সচিব হিসাবেও তিনি ছিলেন প্রথম মহিলা অফিসার। তবে রীনাদেবী বারবারই বলেন এবং লিখেওছেন, মহিলা হিসাবে নয়, যোগ্য, দক্ষ অফিসার হিসাবেই তাঁকে যেন মনে রাখা হয় এবং যোগ্য অফিসার হিসেবেই তাঁকে অধিকর্তা পদে বিবেচনা করা উচিত ছিল।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে থাকার সময় কেন্দ্র রীনাদেবীকে কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নীতি সুপারিশের দায়িত্ব দিয়েছিল। কয়েক দফায় কাশ্মীর গিয়ে রীনাদেবী সরকারকে জানিয়েছিলেন, শুধু বন্দুকের জোরেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। আলোচনার প্রক্রিয়াও শুরু হওয়া উচিত। অনিয়ন্ত্রিতভাবে ‘পেলেট’ ছোড়ার বিষয়েও তাঁর সুনির্দিষ্ট সুপারিশ ছিল। তার পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ কাশ্মীরে গিয়ে জানিয়েছিলেন, একান্ত প্রয়োজন না হলে ‘পেলেট’ ব্যবহার হবে না। যদিও পরবর্তী কালে সেনার উপরেই আস্থা রাখে সরকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন