বৃষ্টি বন্ধ হওয়ায় শুক্রবার থেকে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের গর্ত বোজানোর কাজ শুরু করল জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। কাল, রবিবারের মধ্যে সেই কাজ শেষ করার আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা।
ওই জাতীয় সড়ক এখন যেন সাক্ষাৎ মরণফাঁদ! দু’হাত অন্তর তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। তার জেরে দুর্ঘটনাও ঘটছে। খারাপ রাস্তার বার বার গর্তে পড়ছে গাড়ি। রাতের দিকে পরিস্থিতি আরও শোচনীয় হচ্ছে।
মোটা টাকা ‘টোল’ দিয়ে যে সড়ক ব্যবহার করতে হয়, সেখানে প্রতি পদে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে যাত্রীদের। এ ব্যাপার নিয়ে বিক্ষুব্ধ এলাকার মানুষেরা। শুক্রবারই আনন্দবাজারে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তার পরেই নড়েচড়ে বসে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের এক কর্তার আশ্বাস, ‘‘আর দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। রবিবারের মধ্যেই সংস্কারের কাজ শেষ হয়ে যাবে।’’ কিন্তু ফের বৃষ্টিতে সড়ক আবার মরণফাঁদ হয়ে উঠবে কিনা, সে দুশ্চিন্তা থেকেই যাচ্ছে যাত্রীদের। কেননা, কয়েক মাস আগেও বেহাল হয়ে পড়া ওই সড়ক সংস্কার করা হয়েছিল। তার পরে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে আবার বেহাল হয়েছে। ওই কর্তার অবশ্য দাবি, ‘‘রাস্তা সারাইয়ের পরে প্রযুক্তিগত কারণে গাড়ি চলাচল শুরু করানোর জন্য নির্দিষ্ট সময় অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু শেষ বার সংস্কারের পরে গাড়ির চাপ থাকায় ততটা সময় দেওয়া যায়নি। এ বার সমস্যা হবে না। ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য ওই সড়কের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে আলো বসানোর জন্য ইতিমধ্যে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হুগলি ও বর্ধমান জেলার পুলিশকর্তারা। কিন্তু এখনও আলো বসেনি। এ ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা চলছে বলে জানিয়েছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।