নিজস্ব চিত্র।
দেগঙ্গায় ভাগাড়-কাণ্ডে প্রথমে লঘু ধারা। তার পর আদালতে গিয়ে জামিন অযোগ্য ধারা যোগ করার আবেদন জানাল পুলিশ। কেন প্রথমে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি? তা নিয়ে বাসিন্দারা ক্ষোভে ফুঁসছেন।
ভারতীয় দণ্ডবিধিতে লঘু ধারায় (জামিনযোগ্য) মামলা করায় গ্রেফতারের পরেও জামিন পেয়ে যান সাফিয়ার রহমান। তাঁকে ফের হেফাজতে নিতে বৃহস্পতিবার বারাসত আদালতে নতুন তিনটি ধারা যোগ করার আবেদন জানান দেগঙ্গা থানার পুলিশ। তার মধ্যে ৩২৮ ধারা জামিন অযোগ্য।
বুধবার সরকারি আইনজীবী বারাসত আদালতের বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, এই ধরনের ঘটনা সমাজের পক্ষে ভাল নয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আরও কড়া ধারা দেওয়া প্রয়োজন। বিচারক সব শুনে দেগঙ্গা থানার তদন্তকারী অফিসার এবং ওসি-কে এ দিন আদালতে হাজির হতে বলেন। নির্দেশমতো হাজির হয়ে এ দিন নতুন তিনটি ধারা যোগ করার আবেদন জানায় পুলিশ।
(ইতিহাসের পাতায় আজকের তারিখ, দেখতে ক্লিক করুন — ফিরে দেখা এই দিন।)
দেগঙ্গায় ক্ষুদ্রমণ্ডলগাঁতিতে ভাগাড় থেকে মরা পশু তুলে এনে ব্যবসা করছিল টি়টাগড়ের বাসিন্দা ইকবাল আনসারি। এ বিষয়ে পুলিশকেও সতর্ক করেছিলেন বাসিন্দারা। কিন্তু তা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। বাধ্য হয়েই পচা মাংস ভর্তি গাড়ি আটকে ভাঙচুর করেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: ডিএ-র আঁচ এবার নবান্নে, ভিতরে-বাইরে বিক্ষোভ কো-অর্ডিনেশন কমিটির
এর পরেও পুলিশ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চায়নি বলে অভিযোগ। এই খবর জানতে পেরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতর তৎপরতার সঙ্গে তদন্তে নামে। বুধবারই জেলা প্রশাসন গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়ে।
আরও পড়ুন: ‘স্তন্যপান করান শৌচালয়ে’, বিতর্কের ঝড়ে শপিং মল
স্থানীয় সূত্রে খবর, ইকবাল এক সময়ে বজবজের ভাগাড় কাণ্ডে অভিযুক্ত সারাফত হুসেনের সহযোগী ছিল। সেই সময়ে একসঙ্গে কাজও করত তারা। কিন্তু ব্যবসায়িক কারণে ঝামেলা হওয়ায়, আলাদা করে মরা পশুর ব্যবসা শুরু করে ইকবাল। উত্তর ২৪ পরগনা ছাড়াও, আসানসোল, হাওড়াতে ইকবালের ডেরা রয়েছে। ইকবালের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।