কলেজ ভোটে মমতার রুদ্রের কাছে হার জটুর

এক জন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে সম্প্রতি সরকারি পদে এসেছেন। অন্য জন শাসক দলের প্রবীণ বিধায়ক। রীতিমতো হাড্ডাহাড্ডি লড়াইতে তরুণ নবাগত হারিয়ে দিলেন প্রবীণকে। হাওড়ার শিবপুরে নরসিংহ দত্ত কলেজে পরিচালন সমিতির চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন ছিল বৃহস্পতিবার। সেই নির্বাচনে রাজ্যের বৃত্তিমূলক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি তথা অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষের কাছে হেরে গিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক জটু লাহিড়ী। ওই কলেজের পরিচালন সমিতির ১৩ জন সদস্য। তাঁদের মধ্যে কলেজের অধ্যক্ষ প্রশান্ত মাহাতো এ দিন ভোটদানে বিরত ছিলেন বলে কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে। রুদ্রনীল ৮-৪ ভোটে জয়ী হন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৫ ০৩:৩৯
Share:

এক জন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে সম্প্রতি সরকারি পদে এসেছেন। অন্য জন শাসক দলের প্রবীণ বিধায়ক। রীতিমতো হাড্ডাহাড্ডি লড়াইতে তরুণ নবাগত হারিয়ে দিলেন প্রবীণকে।

Advertisement

হাওড়ার শিবপুরে নরসিংহ দত্ত কলেজে পরিচালন সমিতির চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন ছিল বৃহস্পতিবার। সেই নির্বাচনে রাজ্যের বৃত্তিমূলক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি তথা অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষের কাছে হেরে গিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক জটু লাহিড়ী। ওই কলেজের পরিচালন সমিতির ১৩ জন সদস্য। তাঁদের মধ্যে কলেজের অধ্যক্ষ প্রশান্ত মাহাতো এ দিন ভোটদানে বিরত ছিলেন বলে কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে। রুদ্রনীল ৮-৪ ভোটে জয়ী হন।

মুখ্যমন্ত্রী-ঘনিষ্ঠ রুদ্রনীলের সঙ্গে জটুবাবুর লড়াইয়ের মূলে দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব রয়েছে বলে স্থানীয় তৃণমূলের একাংশের খবর। জেলা তৃণমূল সভাপতি ও রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় অবশ্য স্পষ্ট জানিয়েছেন, কলেজের পরিচালন সমিতির চেয়ারম্যান পদের ভোট নিয়ে দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও প্রশ্ন নেই। তাঁর বক্তব্য, ‘‘জটুদা ওই কলেজের কমিটির প্রাক্তন সভাপতি ছিলেন। রুদ্র হাওড়ার বাসিন্দা। কলেজের অধ্যক্ষ প্রশান্ত মাহাতো এবং অন্যরা চেয়েছিলেন, এ বার রুদ্রকে সভাপতি করা হোক। কিন্তু কলেজের কেউ এক জন সভাপতি পদে জটুদার নাম প্রস্তাব করেছিলেন। তাই ভোটাভুটি হয়েছে। এখানে তৃণমূলের সঙ্গে তৃণমূলের লড়াইয়ের কোনও ব্যাপার নেই।’’

Advertisement

জটুবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘আমার কাছে কোনও খবর নেই।’’ রুদ্রনীল জানান, নরসিংহ দত্ত কলেজ থেকেই তাঁর ছাত্র রাজনীতিতে হাতে খড়ি। তখন তিনি বামপন্থী ছাত্র আন্দোলন করতেন। তাঁর কথায়, ‘‘গত এক বছর ধরে বৃত্তিমূলক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি হিসাবে সফল ভাবে দায়িত্ব সামলাচ্ছি। আজকের এই জয় সেই সুনাম আর কাজেরই প্রতিফলন। জটুবাবু এই কলেজের জন্য প্রচুর কাজ করেছেন। এ বার হয়তো মানুষ নতুন ও তরুণ মুখ প্রত্যাশা করেছিলেন। তবে কলেজের ভবিষ্যৎ উন্নতির জন্য প্রয়োজনে জটুবাবুর সঙ্গে কথা বলেই কাজ করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন