এ বার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে ছাত্র পেটাল পুলিশ, জখম ১১

এসএফআই-এর মিছিল ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। পুলিশই প্ররোচনা দিয়ে গোলমাল বাধিয়েছে। অভিযোগ করল এসএফআই। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ঢুকে ধাক্কাধাক্কি করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে বাড়ালেন এসডিপিও নিজে। দাবি এসএফআই নেতাদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৬:৫২
Share:

এসএফআই-এর মিছিল ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। পুলিশই প্ররোচনা দিয়ে গোলমাল বাধিয়েছে। অভিযোগ করল এসএফআই। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ঢুকে ধাক্কাধাক্কি করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে বাড়ালেন এসডিপিও নিজে। দাবি এসএফআই নেতাদের। পুলিশের বেপরোয়া লাঠিচার্জে জখম হয়েছেন ২৫ জন পড়ুয়া। এসএফআই জেলা সম্পাদক-সহ ১১ জনের চোট গুরুতর হওয়ায় তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Advertisement

এসএফআই-এর কর্মসূচি আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজাল্ট বিভ্রাট এবং নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উপাচার্যকে মঙ্গলবার স্মারকলিপি দেওয়ার কথা ছিল সিপিএমের ছাত্র সংগঠনের। বর্ধমান স্টেশন থেকে মিছিল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন রাজবাটি পৌঁছয় এসএফআই-এর মিছিল। আগে থেকে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা জানানো থাকলেও, মিছিল রাজবাটির মেইন গেটে পৌঁছনোর পর দেখা যায়, গেট বন্ধ। এসএফআই কর্মীরা পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢুকে গেট খুলে দেন। তার পর মিছিল পৌঁছয় উপাচার্যের ভবনের সামনে। সেই ভবনের গেটে তালা দেওয়া ছিল। তাই আন্দোলনকারীরা উপচার্যের ভবনের সামনে অবস্থান শুরু করেন। আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং এসএফআই নেতাদের মধ্যে পুলিশ মধ্যস্থতা শুরু করে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলতে এবং স্মারকলিপি নিতে কর্তৃপক্ষ রাজি। এই সময়েই রাজবাটি চত্বরে উপস্থিত হন বর্ধমানের এসডিপিও সৌমিক সেনগুপ্ত। তার পরই গোলমালের সূত্রপাত।

আরও পড়ুন:

Advertisement

প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করে প্রহার জুটল ছাত্রের কপালে

বন্ধুরা কোথায়? কী ভাবে ধরব তাদের? কানহাইয়াকে প্রশ্ন পুলিশের

এসএফআই নেতাদের অভিযোগ, এসডিপিও প্রথমে উপাচার্যের ভবনে ঢুকে যান। বাইরে তখন আলোচনা চলছে, ক’জন এবং কারা যাবেন উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলতে। ঠিক তখনই এসডিপিও বেরিয়ে এসে অবস্থানকারীদের মাঝে ঢুকে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন। মুহূর্তে পরিস্থিতি উত্তেজিত হয়ে পড়ে। পুলিশের সঙ্গে এসএফআই কর্মীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। পুলিশ বেপরোয়া লাঠি চালায় পড়ুয়াদের উপর।

লাঠির ঘায়ে মোট ২৫ জন জখম হন। এসএফআই-এর জেলা সম্পাদক দীপঙ্কর দে-সহ ১১ জনকে বর্ধমানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এসএফআই পুলিশের এই আচরণের তীব্র নিন্দা করেছে। লাঠিচার্জের নিন্দায় সরব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও। রেজিস্ট্রার দেবকুমার পাঁজা বলেছেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি রক্ষার স্বার্থেই পুলিশ ডাকা হয়েছিল। ছাত্রদের উপর লাঠি চালানোর জন্য পুলিশকে ডাকা হয়নি। পুলিশি লাঠিচার্জের নিন্দা করছি। পুলিশের কাছে আমরা লাঠিচার্জের কারণ জানতে চাইব।’’

এসডিপিও সৌমিক সেনগুপ্ত অবশ্য লাঠিচার্জের মানতে চাননি। তিনি বলেছেন, ‘‘পুলিশ লাঠি চালায়নি। পরিস্থিতি অনুযায়ী যা ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার ছিল, তাই করা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন