সাধন পাণ্ডে
একই দিনে জোড়া আক্রমণের মুখে পড়লেন মুকুল রায়। তৃণমূলেরই একদল কর্মীর বাধায় শনিবার নন্দীগ্রামে তিনি ঢুকতে পারেননি। সেখানে দলীয় কর্মীদের বাধায় মুকুল যখন নাজেহাল, প্রায় সেই সময়েই তৃণমূলের সদ্য প্রাক্তন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে আবার মুখ খুলেছেন দলের প্রবীণ নেতা এবং রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে।
এ দিন ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের এক অনুষ্ঠানে মুকুলের বিরুদ্ধে রীতিমতো তোপ দেগেছেন সাধনবাবু। দলের আয়-ব্যয়ের হিসেব চেয়ে তৃণমূল নেতৃত্বকে পাঠানো সিবিআইয়ের নোটিসের জবাব মুকুলকেই দিতে হবে বলে এ দিন দাবি করেছেন ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী। এ দিনের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “ওই নোটিসের জবাব মুকুলবাবু এড়িয়ে যাচ্ছেন কেন? তিনি তো এখনও দলে রয়েছেন। দলের সাংসদও। সারা বছর ধরে দলের হিসেব তো তিনিই দেখতেন। সব কাগজে সইসাবুদও করেছেন।” সাধনবাবুর দাবি, “দায়িত্ব নেওয়ার পরে সেই সময়ে যা কিছু হয়েছিল, তার দায়িত্বও তাঁকেই নিতে হবে। না পারলে পদত্যাগ করুন। সাংসদ পদ ছেড়ে দিন। তা হলেই বোঝা যাবে তাঁর সাহস কতখানি।”
মুকুলের বিরুদ্ধে সাধনবাবুর সমালোচনা নতুন নয়। সম্প্রতি উত্তর কলকাতার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কর্মিসভায় মুকুলকে দলের পক্ষে ‘ক্ষতিকারক’ আখ্যা দিয়েছিলেন সাধনবাবু। তিনি কটাক্ষ করেছিলেন, “মুকুল এখন বিজেপি-র খপ্পরে পড়ে গিয়েছে। বিজেপি ওকে বলেছে, তৃণমূলে থেকে ওই পার্টির ক্ষতি করো।” সে দিনও সাধনবাবুর বক্তব্যকে ধর্তব্যের মধ্যেই আনেননি মুকুল। সাধনবাবুর বক্তব্য নিয়ে নন্দীগ্রাম থেকে ফেরার সময়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে মুকুল বলেন, “আমি এই ধরনের বক্তব্যকে কোনও গুরুত্ব দিচ্ছি না। সাধনবাবুর বক্তব্য নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না।”