খনি মাফিয়ারাও পেয়েছে সারদার টাকা, বলছে ইডি

সারদা-কর্ণধার সুদীপ্ত সেন তাঁর আমানতকারীদের টাকা ওড়িশার খনি-মাফিয়াদের কারবারেও ঢেলেছেন বলে দাবি করল কেন্দ্রীয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। শুধু তা-ই নয়। মঙ্গলবার ইডি-র তদন্তকারীরা অভিযোগ করেছেন, খনি-মাফিয়াদের কারবারে সারদার টাকা বিনিয়োগের সঙ্গে ওড়িশা প্রশাসনের কয়েক জন কর্তাও জড়িত!

Advertisement

শমীক ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৪ ০২:৪৯
Share:

সারদা-কর্ণধার সুদীপ্ত সেন তাঁর আমানতকারীদের টাকা ওড়িশার খনি-মাফিয়াদের কারবারেও ঢেলেছেন বলে দাবি করল কেন্দ্রীয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। শুধু তা-ই নয়। মঙ্গলবার ইডি-র তদন্তকারীরা অভিযোগ করেছেন, খনি-মাফিয়াদের কারবারে সারদার টাকা বিনিয়োগের সঙ্গে ওড়িশা প্রশাসনের কয়েক জন কর্তাও জড়িত!

Advertisement

ইডি-সূত্রের খবর: ওড়িশায় সারদার বেশ কিছু আমানতকারী টাকা ফেরত না-পেয়ে পুলিশে অভিযোগ করেছিলেন। তার ভিত্তিতে ইডি-র ভুবনেশ্বর শাখা তদন্তে নামে। সুদীপ্তকে হেফাজতে নিয়ে জেরাও করা হয়। আর তাতেই এই সব তথ্য মিলেছে। কী রকম?

ইডি-র দাবি: জেরার মুখে সুদীপ্ত নিজেই কবুল করেছেন যে, খনি-মাফিয়াদের ব্যবসায় তিনি টাকা খাটিয়েছেন। ইডি-র আরও দাবি: কয়েক জন খনি-মাফিয়ার কাছ থেকে এ সংক্রান্ত কিছু কাগজপত্র মিলেছে, যেগুলোর সাহায্যে জানার চেষ্টা চলছে, সারদার ঠিক কত টাকা এ ভাবে বেআইনি পথে সরানো হয়েছে। ইডি’র বক্তব্য, ওড়িশার কয়েক জন খনি-মাফিয়া সারদা-কর্ণধারকে সে রাজ্যে লগ্নি-ব্যবসা বিস্তারে মদত জুগিয়েছিল। ওড়িশা রাজ্য প্রশাসনের কিছু হর্তা-কর্তার সঙ্গে সুদীপ্ত সেনের যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে খনি-মাফিয়াদের কোনও ভূমিকা ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

পাশাপাশি জেনাইটিস সংস্থার মালিক শান্তনু ঘোষের সঙ্গে নিজের ব্যবসায়িক সম্পর্কের কথাও সুদীপ্ত স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন ইডি-র তদন্তকারীরা। প্রসঙ্গত, মানি লন্ডারিং (অবৈধ উপায়ে টাকা সরানো) আইনে শান্তনুকে গত মাসে ইডি গ্রেফতার করেছে। ইডি-র দাবি: সাতটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কনসর্টিয়াম থেকে ঋণ বাবদ পাওয়া টাকার সিংহভাগ শান্তনু বিদেশে পাচার করেছেন বলে তাঁদের কাছে অভিযোগ করেছেন সুদীপ্ত। তাঁর কথার সত্যাসত্য ইডি খতিয়ে দেখছে।

এ দিকে শান্তনুকে এ দিন জেল হেফাজত থেকে কলকাতার নগর দায়রা আদালতের মুখ্য বিচারক মহম্মদ মুমতাজ খানের এজলাসে হাজির করানো হয়েছিল। শান্তনুর তরফে তাঁর কৌঁসুলি জামিনের আবেদন পেশ করেন। বিরোধিতা করেন ইডি’র কৌঁসুলি ভাস্করপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিজিৎ ভদ্র। তাঁদের যুক্তি, সুদীপ্তর অভিযোগ যাচাইয়ের স্বার্থেই শান্তনুকে জেল হেফাজতে রেখে আরও জেরা করা দরকার। আদালত শান্তনুর জামিনের আর্জি নাকচ করে তাঁকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখতে বলে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন